দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের সেন্স (অনুভূতি) আছে, কথাও বলছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
তিনি বলেন, তবে ভয় ইনফেকশন (সংক্রমণ) নিয়ে। ইনফেকশন না হলে শারীরিক অবস্থার উন্নতিটা স্বাভাবিক হবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, অপারেশনের পর তিনি কথা বলতে পারছেন। বর্তমানে তাঁর অনুভূতি আছে, তবে শক্তি নেই। ডান হাত, ডান পা উঠাতে পারছেন না। যেহেতু ওনার মাথার অংশটা কাটা ছিল এবং ময়লা ছিল অনেক, এর ফলে ওই জায়গাটাতে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা আছে। এটাই এখন আমাদের ভয়।
এদিকে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমকে দেখতে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আপাতত তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার দরকার নেই, তবে সংক্রমণের আশঙ্কা আছে।
ওয়াহিদা খানমের মাথায় অস্ত্রোপচারের পর ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণের মধ্যে ৩৭ ঘণ্টা পার হয়েছে। তাঁর বাবা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় নবীরুল ইসলাম ও সান্টু চন্দ্র দাসের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার রিমান্ড শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু। এর আগে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন।
গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আনা হয়।