অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীর মালিকানাধীন প্রপার্টি কোম্পানির প্রতারণা

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীর মালিকানাধীন নাহিয়ান হোমস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুলফিকার আলী আহমেদ রিপন এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

  • Save
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য ও সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাহিয়ান হোমস প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে বাড়ি নির্মাণের চুক্তি করেন ৭জন জমির মালিক। চুক্তি অনুযায়ী যথারীতি নির্মাণ কাজ শুরু করে নাহিয়ান হোমস। নির্মাণ কাজ চলাকালীন পর্যায়ক্রমে জমির মালিকদের নিকট থেকে টাকা নিতে থাকে তারা। একপর্যায়ে অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে টাকার প্রয়োজন দেখিয়া জমির মালিকদের কাছে অগ্রীম টাকা চাইলে সরল বিশ্বাসে তারা ব্যাংক হতে অবশিষ্ট টাকা ছাড় করিয়ে দেন। সেই টাকা পেয়েই নাহিয়ান হোমস কোন ধরণের নোটিশ না দিয়ে সেই ৭জন জমির মালিকের ৮টি বাড়ির নির্মাণ কাজ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি দেখে জমির মালিকগণ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুলফিকার আলী আহমেদ রিপনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোনে তাকে পাওয়া যায় না। বিষয়টি জমির মালিকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়, তারা নাহিয়ান হোমস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে গিয়েও কাউকে না পেয়ে ফিরে আসে এবং তারা ধারণা করে কোম্পানি তাদের অফিস পরিবর্তন করেছে।

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমাদের প্রতিনিধি কয়েকজন জমির মালিকের সাথে কথা বললে নুরুল চৌধুরী, জুয়েল জামান, মিঠু, জহির, প্রদীপ, জিহান শামস ও হাফিজ পুরো ঘটনা সত্য বলে জানান। এ সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুলফিকার আলী আহমেদ রিপনের মুঠোফোন (042540..30) নাম্বারে অসংখ্যবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এমনকি তাদের রেজিস্টার 10 Barrack Circuit, MACQUARIE LINKS. NSW 2565 ঠিকানায় গেলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

  • Save

নাহিয়ান হোমস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতি জমির মালিকদের অধিক আস্থা ও বিশ্বাসের অন্যতম কারণ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুলফিকার আলী আহমেদ রিপনের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. শারমিন আক্তার। কারণ তিনি একজন ডাক্তার ও অস্ট্রেলিয়ায় জেনারেল প্র্যাকটিশনার। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় একজন জেনারেল প্র্যাকটিশনারের অনেক গুরুত্ব এবং জুলফিকারও কাজ পাওয়ার জন্য সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে, তাই জমির মালিকরা উক্ত ডা. শারমিন আক্তারের সন্ধানে যায়। কিন্তু হতাশা ও চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় যখন তারা দেখেন যে, অত্যন্ত চতুরতার সাথে জুলফিকার কাজ বন্ধ করার আগেই গত মে মাসেই সে তার স্ত্রীকে পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এই সংবাদের পর জমির মালিকরা নিশ্চিত হন যে, জুলফিকার সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পনা মাধ্যমে প্রতারণার জাল বিছিয়ে তাদের অর্থ-আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে গেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, সম্প্রতি উক্ত ৭জন জমির মালিক ছাড়াও অপর একজন ব্যক্তি নাহিয়ান হোমস প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ জুলফিকার আলী আহমেদ রিপন তার সাথেও একই ধরণের কাজ করেছে। জমির মালিকদের সাথে কথা বলে আমরা আরো জানতে পারি যে, তারা দ্রুতই অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া, পুলিশ ও ডাক্তার এসোসিয়েশনকে (GP এসোসিয়েশন) বিষয়টা জানাবেন।