স্কলার্স ফোরাম বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বাংলাদেশ শীর্ষক মতবিনিময় সভা আজ আজ বিকাল ৩টায়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে তিলাওয়াত করেন স্কলার্স ফোরাম বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান সরকার এবং মতবিনিময় সভার মূল প্রতিপাদ্য তুলে ধরেন মুফতী মানজুর হোসাইন খন্দকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শায়খ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী।
শফিক আল মুজাদ্দেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডক্টর মাসুম বাকি বিল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং শাক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী ও সিনি: সহ: মহাসচিব বাছির জামাল।
এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তসলিম ইসলাম ওভি, সহ-সমন্বয়ক মোহাম্মদ বাদশাহ উপস্থিত ছিলেন।
স্কলার্স ফোরাম বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য ডক্টর আবুল ফাতাহ মোহাম্মদ মুহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় দেশবরেণ্য স্কলার, আলেম ওলামা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিবর্গসহ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তাগণ বলেন, আমরা দেশের সকল নাগরিক বাংলাদেশী, আমরা বাঙ্গালী জাতি। সৌহার্দ্য সহমর্মিতার দেশ বাংলাদেশ, এদেশে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নেই, যা হয় তা বিছিন্ন ঘটনা। সেসব বিছিন্ন ঘটনাগুলোকে পুঁজি করে একধরণের মিথ্যা গুজব ছড়ানো হয় বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে। তাদের এসব ভুল তথ্যভিত্তিক প্রোপাগাণ্ডা রোধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। দেশে সকল ধর্ম মতের নাগরিকদের মাঝে সম্প্রীতি, সহমর্মিতা বৃদ্ধি ও সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা এবং সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য বিনষ্টকারী সকল দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আলোচকবৃন্দ।
সেই সাথে তারা বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য যদি কেউ ধর্মীয় আবেগ অনুভুতির অপব্যবহার করে, আন্ত:ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করে তা দৃঢ়ভাবে দমন করতে হবে।
বিশেষ করে আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর দেশে অসংখ্য পীর আউলিয়া কেরামগণের মাজার শরীফে আক্রমণ, খানকা দরবারে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ লুটপাট, কিছু মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত। এসব ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহবান জানান আলোচকবৃন্দ।
সরকারের প্রতি অনতিবিলম্বে সকল ধর্ম ও মতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সম্প্রীতি ফোরাম গঠন করার জোর দাবি জানানো হয়।