২০২৪ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার ( Ramadan calender 2024)

২০২৪ সালের রমজান কত তারিখে ?

রোজা কবে থেকে শুরু হবে তা চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। তাই ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ শুরু হবে সে সম্পর্কে একটি সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে। এটি আরব আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা ও জ্যোতিবিদ্যাবিষয়ক সংস্থা আমিরাত এস্ট্রোনোমি থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সৌদি আরবে ২৩ মার্চে রমজান শুরু হয়েছিল এবং এপ্রিলের ২১ তারিখে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশে প্রথম রোজা ছিল মার্চ মাসের ২৪ তারিখে এবং ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছিল ২২ এপ্রিলে।

এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে এবং গবেষণা করে ২০২৪ সালের রমজানের সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২০২৪ সালের রমজান মাস শুরু হবে।

ইতিমধ্যে ২৫ শে জুলাই দিবাগত রাত্রে শবে বরাত এর রাত্রি অতিবাহিত হয়েছে। যা দিয়ে হিসাব করলে বোঝা যাবে যে রোজা বা রমজান মাস শুরু হতে যাবে ১১ ই মার্চ থেকে। অর্থাৎ ১০ মার্চ রাতে তারাবি নামাজ এর সূচনা দিয়ে শুরু হয়ে ১১ মার্চ রাতে সেহেরী করে সেদিন থেকে রমজান মাসের প্রথম শুরু হবে, ইনশাআল্লাহ। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

২০২৪ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার

তারিখ রমজান দিন
১১ মার্চ ১ রোজা সোমবার
১২ মার্চ ২ রোজা মঙ্গলবার
১৩ মার্চ ৩ রোজা বুধবার
১৪ মার্চ ৪ রোজা বৃহস্পতিবার
১৫ মার্চ ৫ রোজা শুক্রবার
১৬ মার্চ ৬ রোজা শনিবার
১৭ মার্চ ৭ রোজা রবিবার
১৮ মার্চ ৮ রোজা সোমবার
১৯ মার্চ ৯ রোজা মঙ্গলবার
২০ মার্চ ১০ রোজা বুধবার
২১ মার্চ ১১ রোজা বৃহস্পতিবার
২২ মার্চ ১২ রোজা শুক্রবার
২৩ মার্চ ১৩ রোজা শনিবার
২৪ মার্চ ১৪ রোজা রবিবার
২৫ মার্চ ১৫ রোজা সোমবার
২৬ মার্চ ১৬ রোজা মঙ্গলবার
২৭ মার্চ ১৭ রোজা বুধবার
২৮ মার্চ ১৮ রোজা বৃহস্পতিবার
২৯ মার্চ ১৯ রোজা শুক্রবার
৩০ মার্চ ২০ রোজা শনিবার
৩১ মার্চ ২১ রোজা রবিবার
১ এপ্রিল ২২ রোজা সোমবার
২ এপ্রিল ২৩ রোজা মঙ্গলবার
৩ এপ্রিল ২৪ রোজা বুধবার
৪ এপ্রিল ২৫ রোজা বৃহস্পতিবার
৫ এপ্রিল ২৬ রোজা শুক্রবার
৬ এপ্রিল ২৭ রোজা শনিবার
৭ এপ্রিল ২৮ রোজা রবিবার
৮ এপ্রিল ২৯ রোজা সোমবার
৯ এপ্রিল ৩০ রোজা মঙ্গলবার

২০২৪ সালের রমজান মাস ১১ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ৯ এপ্রিল শেষ হবে। ২০২৪ সালের রমজান মাস মোট ৩০ দিনের। এটি ১১ মার্চ সোমবার থেকে শুরু হয়ে ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার শেষ হবে।

রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত

রমজান মাস আল্লাহর বিশেষ রহমত ও মাগফেরাতের মাস। এ মাসের ইবাদত-বন্দেগি আমাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ ও আলোকিত করে তোলে। রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ মাস। এই মাসের ইবাদত-বন্দেগি পালনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারি।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের রোজা ও ইবাদত আল্লাহর রহমত ও মাগফেরাত লাভের সুবর্ণ সুযোগ। যারা ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমজানের রোজা রাখবে, তাদের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যারা ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমজানের রাতে ইবাদত করবে, তাদের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।

আর যেখানে ৩০ মার্চ দিবাগত রাত্র (২১ রোজার রাত ), ১ এপ্রিল দিবাগত রাত (২৩ রোজার রাত ), ৩ এপ্রিল দিবাগত রাত (২৫ রোজার রাত ), ৫ এপ্রিল দিবাগত রাত (২৭ রোজার রাত), ৭ এপ্রিল দিবাগত রাত (২৯ রোজার রাত ) এই দিনগুলোর উল্লেখ না করলেই নয়। কারণ এই পাঁচটি রাতের মধ্যে একটি রাত হবে কদরের রাত যা সারা বছরের মধ্যে সবচেয়ে মহিমান্বিত রাত যে রাতের ইবাদত হাজার হাজার বছর ইবাদতের সমান হয়ে দাঁড়াবে। শবে কদরের সেই রাত হবে এক রাতেই কিন্তু এই পাঁচ দিনের কোন রাতে শবে কদর হতে পারে সেটা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারে না। তাই আমাদের উচিত এই পাচ রাতই সমানভাবে ইবাদত করা যেন শবে কদর এর রাত্রি আমাদের কোনভাবে ছুটে না যায়।
যারা ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে শবে কদরে ইবাদত করবে, তাদের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।