প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার পরদিন কাজে ফিরতে শুরু করছেন দেশের বিভিন্ন জেলার চা বাগানের শ্রমিকরা।
রোববার (২৮ আগস্ট) বাগানগুলোতে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭০ ঘোষণা করার পর মৌলভীবাজার জেলার ৯৩টি চা বাগানের মধ্যে অধিকাংশ বাগানে উৎসবমুখর পরিবেশে কাজ শুরু করেছেন চা শ্রমিকরা।তবে যেহেতু রোববার বাগান বন্ধ তাই সোমবার থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
এদিকে, টানা ১৯ দিন পর কাজে ফিরতে পেরে সাধারণ শ্রমিকরাও খুশি। তবে তারা বলছেন, তাদের দাবী ছিলো ৩০০ টাকা। তাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ১৭০ টাকা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কঠিন।বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা।অন্যদিকে, ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর কাজে ফিরেছে হবিগঞ্জের কয়েকটি বাগানের চা শ্রমিকরাও। সকালে লস্করপুর চা বাগানসহ কয়েকটি বাগানে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে।
তবে রোববার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অন্যান্য বাগানের শ্রমিকরা সোমবার থেকে কাজে যোগ দিবেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।লস্করপুর ভ্যালীর সহ সভাপতি উজালা পানিকা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৭০ মজুরী নির্ধারণ করে দেয়ায় লস্করপুর চা বাগানসহ কয়েকটি বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে দুর্গাপূজার আগে বকেয়া টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে সারাদেশের সবকটি চা বাগানে প্রথমে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের দাবী আদায় না হওয়ায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে নামেন শ্রমিকরা।পরবর্তীতে তাদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে গত ২১ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সাথে এক বৈঠকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আসন্ন দুর্গাপূজার আগে নতুন মজুরি ঘোষণা করবেন। তার আগ পর্যন্ত চলমান ১২০ টাকা মজুরী রেখেই কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয় চা শ্রমিকদের।
সেই প্রস্তাব মেনে প্রথমে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও, একদিন পর আবারও কর্মবিরতিতে নামেন শ্রমিকরা। অবশেষে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্যে দিয়ে অবসান হলো চা শ্রমিকদের টানা ১৯ দিনের আন্দোলন।
আরো পড়ুন>>> এমপি মমতাজের স্বামীর ওপর হামলা, অভিযোগ দায়ের