আজ ১৭ রমজান, ঐতিহাসিক বদর দিবস। মুসলিম ইতিহাসের প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ বদর। দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান মদিনার উপকণ্ঠে বদর নামক স্থানে মুখোমুখি হয় মুসলিম ও কুরাইশ বাহিনী। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধ ছিল অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই। ইসলাম ও মুসলিমদের অস্তিত্বের সংগ্রাম। বদর যুদ্ধে আল্লাহ তাআলা অসম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনীকে বিজয় দান করেন। অস্তিত্বের সংকট থেকে মুসলিম উম্মাহকে মুক্তি দিয়ে অমিত সম্ভাবনার দুয়ারে পৌঁছে দেন।
বদর যুদ্ধের বিজয় ছিল বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষের বিজয়। বদর ইসলাম ও মুসলমানের জয়ের ইতিহাস। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরি দ্বিতীয় সনের সতেরোই রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই ‘বদরযুদ্ধ’। বদর হলো অধিক সংখ্যকের ওপর স্বল্পসংখ্যক মুমিনের সফলকাম হওয়ার ইতিহাস। বদর হলো যুদ্ধের ময়দানে ফেরেশতা দিয়ে মুমিনদেরকে আল্লাহর সাহায্য করার ইতিহাস।
এ যুদ্ধ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেই দুই দলের মধ্যে তোমাদের জন্য অনেক নিদর্শন ছিল, যারা (বদরে) পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। একটি দল আল্লাহর পথে লড়াই করছিল, আর অপর দলটি ছিল কাফের। চক্ষুষ্মান লোকেরা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিল যে, কাফেরদের দল মুমিনের দল অপেক্ষা দ্বিগুণ, কিন্তু (ফল প্রমাণ করল যে) আল্লাহ যাকে চান তাকেই তার সাহায্যে ও বিজয় দান করেন। বস্তুত দৃষ্টিমান লোকদের জন্য এতে খুবই উপদেশ ও শিক্ষার বস্তু নিহিত রয়েছে।’ (সূরা আল ইমরান: ১৩)
ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর সেখানে বিভিন্ন জাতি-ধর্মের লোকদের সমন্বয়ে মদিনা সনদের ভিত্তিতে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন এর অধিপতি। মদিনায় রাসুল (সা.) তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে অতি অল্প সময়ের মধ্যে শতধা বিভক্ত জাতিকে একটি সুশৃঙ্খল জাতিতে (উম্মাহ) পরিণত করেন।
একটি নতুন ধর্ম ও রাষ্ট্রের উত্থান এবং মহানবী (সা.) ও মুসলমানদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি মক্কা-মদিনার ইসলামবিরোধী শক্তিগুলোর জন্য প্রবল আতঙ্ক ও গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া একটি নতুন ধর্মের উন্মেষে নিজেদের প্রাধান্য খর্ব হয়। স্বতন্ত্র একটি মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে মক্কা থেকে সিরিয়া পর্যন্ত কুরাইশদের যে অবাধ বাণিজ্য প্রতিষ্ঠিত ছিল তাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এবং নাখলার খণ্ডযুদ্ধ প্রভৃতি কারণ মক্কার কুরাইশদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্ররোচিত করে।
হিজরি দ্বিতীয় বর্ষের ১৭ রমজান ৩১৩ জন সাহাবিকে সঙ্গে নিয়ে মহানবী (সা.) মদিনা শরিফের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ৮০ মাইল দূরে বদর নামক স্থানে কাফেরদের সঙ্গে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ইতিহাসে এ যুদ্ধকে বদর যুদ্ধ বলে অবহিত করা হয়। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধের সেনাপতি ছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সৈন্য সংখ্যা ছিল ছিল মাত্র ৩১৩ জন। এর মধ্যে ৭০ জন মুহাজির ও বাকিরা আনসার। অন্যদিকে কাফের কুরাইশ বাহিনীর সংখ্যা ছিল এক হাজার। তন্মধ্যে ১০০ জন অশ্বারোহী, ৭০০ জন উষ্ট্রারোহী ও বাকিরা পদব্রজী ছিল। সত্যপথের অনুসারী অল্পসংখ্যক রোজাদার মুসলমান বিশাল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মিথ্যার অনুসারী কাফের মুশরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করায় সত্য-মিথ্যার চিরপার্থক্য সূচিত হয়ে যায়। তাই বদর দিবস কে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যের দিন বলা হয়।
রাসূলুল্লাহ (সা) তার সৈন্যদের নিয়ে বদর অভিমুখে রওনা হন। আবু সুফিয়ান মুসলিমদের অবস্থা জানতে পেরে কুরাইশদের কাছে এ মর্মে একজন সংবাদবাহক পাঠায়, যেন কুরাইশরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার সাহায্যে এগিয়ে আসে। তাই আবু সুফিয়ান রাস্তা পরিবর্তন করে সমূদ্র উপকূল ধরে রওনা দিল এবং নিরাপদে পৌঁছে যান। কিন্তু কুরাইশ সম্প্রপ্রদায় তাদের কাছে সংবাদবাহকের মাধ্যমে সংবাদ পৌঁছামাত্রই তাদের নেতৃস্থানীয় ১ হাজার লোক সদলবলে যুদ্ধের উদ্দেশে রওনা দেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর সৈন্যদল সাহাবীদের সঙ্গে নিয়ে চললেন এবং বদর কূপগুলোর কাছের পানির কূপের সম্মুখে যাত্রাবিরতি দিলেন। মুসলিমরা যুদ্ধের মাঠে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জন্য উঁচু স্থানে একটি তাঁবু বানালেন, যেখান থেকে যুদ্ধের ময়দান দেখা যায়। তিঁনি সেখানে অবস্থান করেছিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) সেখান থেকে নামলেন, সাহাবিদের কাতার সুন্দর করে সাজালেন, যুদ্ধের ময়দানে চলতে থাকলেন এবং মুশরিকদের পতনের স্থল ও হত্যার স্থানগুলোর দিকে ইঙ্গিত করতে থাকলেন। আর তিনি বলছিলেন, ‘আল্লাহ চাহে তো এটা অমুকের পতিত হওয়ার জায়গা, এটা অমুকের মৃত্যুস্থান।’ পরে দেখা গেল রাসুলের ইঙ্গিতের জায়গা থেকে ওই লোকদের মৃত্যু সামান্যও হেরফের হয়নি। (মুসলিম-১৭৭৯)
অতঃপর দুইটি দল (মুসলিম ও মুশরিক) পরস্পর মুখোমুখি হলো। যুদ্ধ চলতে থাকল রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁবুতে অবস্থান করলেন। তার সঙ্গে ছিলেন আবু বকর (রা.) ও সা’দ ইবন মু’আয (রা.)। তারা দুইজনই রাসুলুল্লাহ (সা.)কে পাহারা দিচ্ছিলেন। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বীয় রবের কাছে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কাতর প্রার্থনা জানালেন ; সাহায্য ও বিজয়ের প্রার্থনা করলেন;
যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে রাসূল (সা.) আল্লাহর দরবারে বার বার দোয়া করছিলেন: হে আল্লাহ্ ! তুমি আমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছো তা পূর্ণ করো, হে রাব্বুল আলামিন আজ যদি এই মুষ্টিমেয় লোকের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যায় তাহলে কিয়ামত পর্যন্ত তোমার ইবাদত করার কেউ থাকবে না।
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে : স্মরণ করো, তোমরা তোমাদের রবের নিকট সাহায্যের জন্য দোয়া করেছিলে। তিনি তা কবুল করেন এবং বলেন : আমি তোমাদের সাহায্য করবো সহস্র ফেরেশতা দ্বারা যারা একের পর এক আসবে। (সূরা আন্ ফাল-৯)
অতঃপর রাসূল (সা.) সামান্যতম সময়ের জন্য তন্দ্রাচ্ছন্ন হলেন। তারপর এ অবস্থা থেকে বের হয়ে বললেন, ‘অবশ্যই কাফিররা পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠদেশ দেখিয়ে পলায়ন করবে।’ (সুরা কামার- ৪৫)
আরো পড়ুন: ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিক-মালিকের পারস্পারিক সম্পর্ক
বদর দিবস
ঐতিহাসিক বদর দিবস – বদর প্রান্তর
যুদ্বের এক পর্যায়ে মুসলমানরা “ইয়া মানসুর আমিত” স্লোগান দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। যুদ্ধে মক্কার কুরাইশরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং পিছু হটতে বাধ্য হয়। মুয়াজ ইবনে আমর ও মুয়াজ ইবনে আফরা কুরাইশ পক্ষের সর্বাধিনায়ক আবু জাহলকে হত্যা করেন। বিলালের হাতে তার সাবেক মনিব উমাইয়া ইবনে খালাফ নিহত হয়। উমর ইবনুল খাত্তাব তার মামা আস ইবনে হিশাম ইবনে মুগিরাকে হত্যা করেন। বিকেলের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। কুরআনে উল্লেখ রয়েছে যে এই যুদ্ধে হাজারো ফেরেশতা মুসলিমদের সহায়তার জন্য এসেছিল।
অসামান্য রণনৈপুণ্য, অপূর্ব বীরবিক্রম ও অপরিসীম নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে যুদ্ধ করে মুসলমানরা গুরুত্বপূর্ণ বদর যুদ্ধে বিধর্মী কুরাইশদের শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে।
এ যুদ্ধে কুরাইশদের ৭০ জন নিহত হয় এবং ৭০ জন বন্দি হয়। ১৪ জন সাহাবি শহীদ হন। তাঁদের ১৩ জনের কবর এবং নামফলক বদর প্রান্তরে সংরক্ষিত রয়েছে। আর একজন সাহাবি আহত অবস্থায় মদিনার ফেরার পথে কিছুদূর আসার পর শাহাদত বরণ করেন। সেখানেই তাঁর সমাধি হয়। এ যুদ্ধে মুসলমানদের কেউ বন্দি হননি।
বদর যুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য
সূরা আনফালের ৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সাহায্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘তোমরা যখন ফরিয়াদ করতে আরম্ভ করেছিলে স্বীয় রবের কাছে, তখন তিনি তোমাদের ফরিয়াদ কবুল করলেন যে, আমি তোমাদের সাহায্য করব ধারাবাহিকভাবে আগত ফেরেশতার মাধ্যমে।’ অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি কাফিরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেবো, কাজেই তাদের গর্দানের ওপর আঘাত হান এবং তাদের জোড়ায় জোড়ায় কাট।’ (সূরা আনফাল, আয়াত-১২)
এ ছাড়া এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবিদের কাছ থেকেও আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্যের বিবরণ পাওয়া যায়। যেমন : হজরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘বদরের দিন ব্যতীত ফেরেশতারা আর কখনো যুদ্ধ করেননি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বদরের দিন ফেরেশতারা সাদা পাগড়ি পরিহিত ছিল। যুদ্ধের জন্য তাদের অগ্রভাগে প্রেরণ করা হয়েছিল।’
বদর যুদ্ধের গুরুত্ব
ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হল সব কিছুর জন্য আল্লাহ তায়ালার ওপর তাওয়াক্কুল বা ভরসা করা।
বদরের এ দিনটিকে আল্লাহ স্মরণীয় হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللهُ بِبَدْرٍ وَأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ فَاتَّقُوْا اللهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন বদরের যুদ্ধে। অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। অতএব আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হ’তে পার’ (আলে ইমরান-১২৩)।
বদরের যুদ্ধের বিজয় ছিল মক্কা বিজয়ের সোপান স্বরূপ। এই সময় শা‘বান মাস থেকে কা‘বার দিকে কিবলা পরিবর্তিত হয় এবং বদর যুদ্ধের মাত্র ছয় বছর পরেই ৮ম হিজরীর ১৭ই রমযান তারিখে মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে যা পূর্ণতা লাভ করে।
ঐতিহাসিক জোসেফ হেল বলেন, ‘বদরযুদ্ধ ইসলামের প্রথম সামরিক বিজয়। আমরা নিবিষ্টচিত্তে এটি অনুধাবন করেছি। কারণ এটি স্বজাতীয় দেশবাসীর ওপর মুসলমানদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।’
বদর যুদ্ধে মাধ্যমে মুসলমানদের সাহস, উদ্দীপনা ও আত্মপ্রত্যয় বহু গুণ বেড়ে যায়। বদরযুদ্ধে বিজয়ের পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলামের দাওয়াত প্রসারিত হতে থাকে। মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে থাকে অতিদ্রুত।
হেল বলেন, ‘এ যুদ্ধে বিজয় লাভের পর আরবদের অধিকাংশই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিনা দ্বিধায় ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে। আরব ভূখণ্ড পেরিয়ে ইসলামের জনপ্রিয়তা পৌঁছে যায় দূর-দূরান্তে।’
ঐতিহাসিক পি.কে হিট্টি বলেন, ‘বদরযুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সম্প্রসারণের সূচনা করে এবং পরবর্তী একশ বছরের মধ্যে ইসলাম পশ্চিমে আফ্রিকা থেকে পূর্বে ভারতবর্ষ ও মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে।’
বদর যুদ্ধ হজরত মুহাম্মদ (সা:)-এর সম্মান ও মর্যাদা বাড়ানোসহ দুনিয়াব্যাপী ইসলাম প্রসারে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই সব দিক বিবেচনায় বদরের যুদ্ধ মুসলমানদের ইতিবৃত্তের শুধু একটি বিখ্যাত যুদ্ধই নয়, এর ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম।
সুতরাং বদরযুদ্ধকে ইসলামের ইতিহাসে সর্বাধিক আলোড়নকারী ঘটনা বলা যেতে পারে। বদর যুদ্ধের বিজয় অর্জন শুধু একটি যুদ্ধে বিজয় অর্জনই নয়। এ বিজয় ছিল মিথ্যার ওপর সত্যের বিজয়। এ বিজয় ছিল ইসলামি আদর্শের বিজয়।
বদর যুদ্ধের প্রভাব
বদরের যুদ্ধ সুদূরপ্রসারী প্রভাব সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধ জয়ের ফলে নেতা হিসেবে মুহাম্মদ (সা.) এর কর্তৃত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে অন্য আরব গোত্রগুলি মুসলিমদেরকে নতুন শক্তি হিসেবে দেখতে শুরু করে। মদিনার অনেকে এসময় ইসলাম গ্রহণ করে। বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুসলিমদেরকে খুবই সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হয়।
অন্যদিকে যুদ্ধে আবু জাহেলসহ মক্কার অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির মৃত্যুর ফলে আবু সুফিয়ান নতুন নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। পরবর্তীতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে তিনি কুরাইশদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মক্কা বিজয়ের সময় আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করেন। মুসলিম হওয়ার পর আবু সুফিয়ান মুসলিম সাম্রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। পরবর্তীতে তার পুত্র মুয়াবিয়া, উমাইয়া খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন।
বদর দিবস এ করণীয়
বদর দিবস এ করণীয় হলো, বদরী সাহাবীদের জন্য আমাদের কল্যানার্থে দোয়া কামনা করা। তাদের উছিলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং বদরী সকল সাহাবীর প্রতি মহাব্বত ও ঈমানী ভালোবাসা রাখা। ঐতিহাসিক বদর দিবস মুসলিমদের এগিয়ে চলার প্রেরণা ও আল্লাহ্ তা’লার নিদর্শন।