যে খাবার থেকে কমবে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি

গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য।
যে খাবার থেকে কমবে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। এই পানিশূন্যতা থেকে যে কোনো স্থানে যে কোনো সময়ই হিট স্ট্রোক হতে পারে। দিন দিন গরমের তাপ বেড়েই চলছে। আর তার সাথে শুষ্ক আবহাওয়া আছেই। তাই সকলকে এখনই হিট স্ট্রোকের বিষয়ে সতর্ক না হলে সমস্যা গুরুতর হতে পারে।

গ্রীষ্মকালে সকলের মাঝেই এক ধরনের ক্লান্তিভাব দেখা যায়। বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া, ক্রমাগত ঝিমুনি আসা, মাথা ঘুরানো, বমি বমি ভাব- গরমে অনেকেরই এধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নিয়মিত এই সমস্যা চলতে থাকলে জ্ঞান হারানো, বুক ধড়ফড় করা, নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা এমনকি হিট স্ট্রোকও হতে পারে যখন তখন।

এ হিট স্ট্রোকের বিষয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ রেশমি রায় চৌধুরীর জানান, এসব সমস্যার সূত্রপাত ঘটে শরীরে পানির ঘাটতির কারণে। নিঃশ্বাস, ঘাম, প্রস্রাবের কারণে শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। যখন শরীরে এই পানির ঘাটতি শুরু হয় তখনই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ রেশমি রায় চৌধুরী শরীর আর্দ্র রাখতে ৫ খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন-

> এই প্রচণ্ড গরমে পানির বিকল্প নেই। তাই সব বয়সের ব্যাক্তিকেই বারবার পানি পান করতে হবে। তবে পানির পাশাপাশি স্যালাইনও পান করা যেতে পারে।

> গরমে ডাবের পানি পেট ঠান্ডা থাকে। এছাড়া এই পানি পানের করলে শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে।

> আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে উঠবে কাঁচা আম। এই ফল শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো বের করে দেয় সাহায্য করে। এটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে।

গরমের দিনে এই ফল খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এ সময় লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেতে পারেন। তাছাড়া কাঁচা আম পোড়া শরবত কিংবা কাঁচা আমের চাটনিও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

> লাউও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তবে রান্না করা লাউয়ের তুলনায় কাঁচা লাউয়ের রসের উপকারিতা অনেক বেশি। এজন্য লাউ ব্লেন্ড করে এর রস সামান্য লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় শরীরকে বেশ ঠান্ডা রাখে, শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে।

> গরমের এ সময় বিকেলের স্ন্যাকসে খিদে পেলে অঙ্কুরিত মুগ ডালের সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম। আবার শরীরের তাপমাত্রাও বাড়ে না, পেট ঠান্ডা থাকে, শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকে।

> টকদই খুবই উপকরী। এজন্য খাওয়ার পর টকদই খান নিয়মিত। আবার দইয়ের ঘোল কিংবা লাচ্ছিও খেতে পারে। টকদই খেলে হজম ভালো হবে, আর শরীরে পানির চাহিদাও মিটবে।

আবার এই গরমের তাপদাহ থেকে নিজের ত্বক সুন্দর রাখতে ছাতা ব্যাবহার করা যেতে পারে।

 

আরো পড়ুনঃ পছন্দের খাবার খেলেই কেন মন ভালো হয়ে যায়?