টানা দুই দিন বড় দরপতনের পর আজ শেয়ারবাজারে সূচকের প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর পর প্রথম আধা ঘণ্টায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৩ পয়েন্ট। আধা ঘন্টায় লেনদেনের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই প্রথম আধা ঘন্টায় বেড়েছে ৬৪ পয়েন্ট।
গত দুই দিনে ১৭৫ পয়েন্ট হারায় ডিএসইএক্স সূচকটি। এ ছাড়া গত আট দিনে ডিএসইএক্স সূচকটি ৪২৩ পয়েন্ট কমেছে।
গতকাল ডিএসইএক্স সূচকটি ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১১ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৪ হাজার ৩৬ পয়েন্টে। এর ফলে ভিত্তি পয়েন্টের নিচে নেমে যায় সূচকটি। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি সূচকটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ৪ হাজার ৫৬ পয়েন্টে। অন্যদিকে গতকাল সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমে ২৭৫ পয়েন্ট।
টানা দরপতনে শেয়ারবাজারের সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীর মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাজার ঘুরে দাঁড়াবে-এমন আশা দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিঃস্ব হওয়ার আগেই বাজার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন অনেক বিনিয়োগকারী। ফলে বাজারে বিক্রির চাপ বেড়েছে, তৈরি হয়েছে ক্রেতার সংকট। এক দিনের ব্যবধানে গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমে যায়।
বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এবারের দরপতনে অধিকাংশ শেয়ারের দাম ২০১০ সালের ধসের সময়ের চেয়েও অনেক নিচে নেমে গেছে। বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বিবেচনায় নিলে বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ২০১০ সালের চেয়েও খারাপ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সিরডাপের পরিচালক (গবেষণা) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১০ সালে আমরা দেখেছি, সূচক অনেক ওপরে ওঠার পর হঠাৎ করে বড় ধরনের পতন শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ, সূচকের বড় ধরনের উত্থানের পর বড় ধরনের ধস হয়েছিল। আর এবার দীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে সূচকের বড় পতন ঘটেছে। এটিও আরেক ধরনের ধস।’
বড় ধরনের টানা দরপতনে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বাজারের ওপর আস্থা হারানো এসব বিনিয়োগকারীর সামনে কোনো আশাই নেই।