এমবি কাজী নাছির,শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য ৫০০- ৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন শিক্ষার্থীদের আগে থেকে ৮০০ টাকা করে আনার জন্য নির্দেশ দেন বলে ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন বেশী টাকা নেওয়ার কথা না।
ইদিলপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ইদিলপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ২০২১ সালে ৪৯ জন পরিক্ষার্থী রয়েছে তাদের কাছ থেকে , অ্যাসাইনমেন্ট নেয়া হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে কোন টাকা ধার্য করে নাই। কিন্তু শরীয়তপুরের ইদিলপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্রীদেও কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য ৫ শখত টাকা থেকে ৮ শত টাকা ধার্য করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রীরা টাকা নিয়ে স্কুলে আসলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেন তাদের কাছ থেকে টাকা জমা দেন বলে ছাত্রীরা জানান। ছাত্রীরা সংবাদকর্মীদেও কাছে অভিযোগ করলে বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক কমল নন্দি ছাত্রীদেও রীতিমত ধমকাতে থাকেন ও ভয়ভীতি দেখান। কোন কথা যেন না বলা হয় এবং টাকা নেওয়া হয় না বলে জানান তিনি। আর এতে করে ছাত্রী অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একধিক শিক্ষার্থী জানান, টাকা না দিলে অ্যাসাইমেন্ট বোর্ডে পাঠানো হবে না। ঐ শিক্ষর্থী স্যারের কাছে কোন কোন খাতে টাকা নেয়া হবে, জানতে চাইলে স্যার জানান, ৪৮০ টাকার মত ফটোকপি খচর, এবং বাকি টাকা স্যারদের খাতা দেখার জন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক ছাত্রী বলেন, ইব্রাহিম হোসেন স্যার প্রায় ৭-৮ জন পরিক্ষার্থীদেও কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। পরে প্রধান শিক্ষক ফোন কওে বললে তিনি বাইরে চলে যান।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক অসুস্থ। তাই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন। ৩ জন ছাত্রীর কাছ থেকে ৫ শত টাকা নেয়া হয়েছিল। তার আবার ফেরত দেয়া হয়েছে। এর পর আর তাদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মোবারক হোসেন মিয়া বলেন, আমি করোনা আক্রান্ত। আমি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, আসাদুজ্জামান সবুজকে বলে দিয়েছি ছাত্রীদের কাছ থেকে থেকে কোন টাকা নেয়া যাবে না। তার পরও শুনেছি ৩ জন ছাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তার আবার তাদের ফিরত দিয়েছে।
গোসাইরহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আশ্রাফুজ্জামান বলেন, আমরা জুম মিটিং করে বলে দিয়েছি কোন টাকা নেয়া যাবে না। তার পরও তার কেন টাকা নিচ্ছে জানি না। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোসাইরহাট উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে বেশী নেয়ার কথা না।