বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপি। একই সময়ে সারাদেশেও বিক্ষোভ করবে দলটি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে হত্যা করার জন্য বেআইনিভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। আমরা তাকে বাঁচাতে চাই। তার মুক্তির জন্য সাংবিধানিকভাবে যতরকমের চেষ্টা করার আমরা সবই করছি। আইনগতভাবেও যতরকম পথ আছে সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এটা আইনের মধ্যে নেই। সেজন্য জনগণকে সাথে নিয়ে তার মুক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এখন পুরো ইচ্ছেটাই সরকারের হাতে। অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতারের জন্য সরকারই দায়ী। এ ধরনের মামলায় সাত দিনের মধ্যে জামিন হওয়ার কথা। সাধারণ নাগরিকও সাত দিনে জামিন পায়। কিন্তু উনাকে (খালেদা জিয়া) দু’বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে প্যারোলের জন্য আবেদন করা হয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। পরিবারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুমতির প্রয়োজন নেই। আমরা বারবার বলেছি, এটা অনুমতির বিষয় না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেসারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।