বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করতে আগ্রহী দেশের প্রায় দশ হাজার প্রশিক্ষিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। যথাযথ প্রশিক্ষণ শেষ করে নিয়োগ না হওয়ায় সারাদেশে অলস সময় কাটাচ্ছেন এই বিশাল সংখ্যক মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আজ নিজেদের যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে জাতির সেবায় আত্ননিয়োগ করতে চান তারা।
সে লক্ষ্যে মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলা ও প্রতিরোধে দেশের বেকার দশ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের জরুরী ভিত্তিতে নিয়োগের দাবী জানিয়ে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমটিএ) কেন্দ্রীয় সংসদ। গত ৩১ মার্চ বিএমটিএ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ আলমাছ আলী খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহব্বত হোসেন খান স্বাক্ষরিত আবেদন জমা দেয়া হয়। এ সময় বিএমটিএ’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ও পরিচালক প্রশাসনের সাথে সাক্ষাত করে বিষয়টি অতীব জরুরী বিবেচনায় দ্রুত আমলে নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান।
বিএমটিএ তাদের আবেদনে উল্লেখ করে, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ, পরীক্ষা, এক্সরে, সিটি স্ক্যান, এমআরআইসহ ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা হিসেবে এই মেডিকেল টেকনোলজিস্টরাই করে থাকে।আইনি ও নিয়োগবিধি সংশোধনসহ নানা জটিলতায় দীর্ঘ ৮ বছর যাবত স্থগিত আছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ। তাই যথাযথ প্রশিক্ষণ শেষ করেও নিয়োগ না হওয়ায় সারাদেশে অলস সময় কাটাচ্ছেন প্রায় দশ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।
স্বাধীনতা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের অন্যতম কেন্দ্রীয় সদস্য এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মোঃ আবু সাঈদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই প্রশিক্ষিত জনশক্তি কাজে লাগানো সম্ভব। প্রয়োজন শুধু যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছা। সরকার প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে,দেশব্যাপী নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে করোনা মোকাবেলায়। তবে এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে যারা কাজ করবে তাদের ক্ষেত্রে অবহেলা ও সময়ক্ষেপন করা হচ্ছে। আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাঙ্গালী জাতির আশা ও ভরসার কেন্দ্রস্থল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-উনার নিকট আমরা ইতিপূর্বেও বলেছি, আবারো বলছি- আমাদের সুযোগ দিন। আমরা দেশ ও দেশের মানুষের এই চরম দুর্দিনে তাদের স্বাস্থ্য সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে চাই। সবাই এক বাক্যে বলেন, সুযোগ চাই-সেবা করার।