দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ‘ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন। এই মহাসড়ক দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে।
একইসঙ্গে তিনি তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ৬ লেনবিশিষ্ট ৮ কিলোমিটার কর্ণফুলী (শাহ আমানত শাহ সেতু) সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক এবং ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে নির্মিত ২৫টি সেতুর উদ্বোধন করেন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করার জন্য দুটি সার্ভিস লেন, পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, দুটি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু ও ৫৪টি কালভার্ট থাকা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটি প্রথম অ্যাক্সেস কন্ট্রোল্ড ননস্টপ এক্সপ্রেসওয়ে। এ এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ট্রাফিক ক্রসিং নেই। যানবাহনগুলো বিরতিহীনভাবে চলবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমার খুব ইচ্ছে ছিল নিজে গিয়ে উদ্বোধন করার। কিন্তু পারলাম না। আজকে এখান থেকে এক্সপ্রেসওয়েটিসহ অনেকগুলো উন্নয়ন কাজ আমরা উদ্বোধন করছি। তবে খুব শিগগির যাব। এক মাসের মধ্যেই হয়তো যেতে পারি।
এর মধ্য দিয়ে যাতায়াতের সময় কয়েক ঘণ্টা কমিয়ে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। দ্রুতগতির এই সুপার মহাসড়ক ঢাকা শহরের সঙ্গে পুরো খুলনা ও বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের কিছু অংশের যোগাযোগে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
মুন্সিগঞ্জসহ দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষ সরাসরি এ আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপকৃত হবে। আর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার পর যাত্রীরা এক্সপ্রেসওয়েটির পুরো সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তখন এক্সপ্রেসওয়ের দুই অংশ—যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার ও পাঁচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার যুক্ত হয়ে যাবে।