লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
প্রতিটি মহিলার নিজের মনের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। আসলে মনের প্রতি নজর রাখতে পারলেই আপনি নিজের সম্পর্কে একটি গ্রহণযোগ্য ধারণা তৈরি করতে পারবেন। এমনকী আপনি কতটা ভালো আছেন, তাও জানিয়ে দেবে মন।
সত্যি কথাটা হল এরপরও মহিলাদের (Women) একটি বিশেষ অংশ মনের দিকে নজর দেন না। এই কারণেই মূল সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই নিজের মনের খবর রাখেন না। এমনকী চিকিৎসকের কাছেও আসেন না। ফলে রোগ নির্ণয়, থেরাপি ও চিকিৎসা দূরেই রয়ে যায়।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) জানাচ্ছে, মানুষের ভাবনা, চিন্তা, মুড ইত্যাদির উপর প্রভাব ফেলা কোনও অসুখকে মানসিক সমস্যা বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সিজোফেনিয়া, অবসাদ, বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো সমস্যার কথা ভুলে গেলে কিন্তু একেবারেই চলবে না। তবে এর বাইরেও অনেক সমস্যা রয়েছে। আমাদের সামাজিক, ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে এই সমস্যাগুলি।
শারীরিক সমস্যার মতোই
এক্ষেত্রে প্রথমেই যেমনটা বলেছিলাম যে এই সমস্যা কিন্তু অনেক সময়ই শারীরিক সমস্যার মতোই হয়। অর্থাৎ, শারীরিক সমস্যা যেমন কিছু সময়ের জন্য আসে, মানসিক সমস্যাও কিন্তু কিছুটা সময়ের জন্যই থাকতে পারে। তাই এই বিষয়টিকে নিয়ে এতটা ভাবার কিছু নেই। এক্ষেত্রে ঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারলেই সমস্যার হতে পারে সমাধান।
কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে?
১. অনুভবে অনেকটা বদল এসেছে। আর এই বদল রয়েছে অনেকটা সময় ধরে। এক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহের বেশি সময় সেই বদল থাকলে কিন্তু অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
২. আগে যেই জিনিসগুলি খুবই ভালোবাসতেন, এখন আর ভালো লাগছে না।
৩. ঘুমের ক্ষেত্রে এসেছে বদল। কম সময় বা বেশি সময় ঘুমানো হচ্ছে।
৪. খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে বদলে গিয়েছে। বেশি বা কম খাওয়া হচ্ছে।
৫. নিজের ভিতর ভাবনার জোয়ার আসছে।
তবে এছাড়া আরও একটি লক্ষণের কথা বলা দরকার। এক্ষেত্রে নিজেকে আর চিনতে না পারা বা নিজের সত্ত্বার বদলে যাওয়াটা কিন্তু একটি বড় লক্ষণ।
কী কী হতে পারে?
এই সমস্যা দেখা দেওয়া সম্ভব-
১. বাস্তবের সঙ্গে কোনও যোগ নেই।
২. নিজের পরিবর্তন বুঝতে না পারা। এক্ষেত্রে ব্যক্তিত্ব, ব্যবহারে বদলও চোখে পড়ে না।
৩. বেশি পরিমাণে মদ্যপান বা অন্যান্য নেশায় ডুবে থাকা।
৪. সুইসাইডের সম্পর্কে চিন্তা করা।
৫. রোজকার কাজ করতে না পারা ইত্যাদি। এই লক্ষণ দেখা দিলেই হয়ে যান সতর্ক।
কী করতে পারেন?
NAMI (National Alliance on Mental Illness)-এর মতে, প্রথমত রোগ নির্ণয় করতে হবে। তারপর নিজের মতো করে একটি লক্ষ্য ঠিক রাখা দরকার। মনে রাখবেন, এই রোগের চিকিৎসা কিন্তু বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। এক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি, কাউন্সেলিং, তাঁর পাশে থাকা এবং তাঁকে রোগ সম্পর্ক শিক্ষিত করে তোলা হল অত্যন্ত জরুরি।
এক্ষেত্রে এই অসুখ কিন্তু মানুষকে কোনওভাবেই আলাদা করে দিতে পারে না। তাই সমাজের প্রতিটি মানুষকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। এই মানুষগুলিকে কাছের করে নিতে হবে। তবেই একটা সুস্থ সমাজ গড়ে তোলা হবে সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় বাড়ছে গরমের তীব্রতা