আব্দুল্লাহপুরের মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র তাওহীদকে অপহরণকারী মকবুল গ্রেফতার, এলাকাবাসী ও মায়ের দাবি সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

আসসালামু আলাইকুম,

  মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকার জন্য ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে মাদ্রাসাছাত্র মো. তাওহীদ ইসলামকে (১০) অপহরণ করেন প্রতিবেশী মকবুল হোসেন মুকুল। একপর্যায়ে মুকবুলকে চিনে ফেলে তাওহীদ। এরপর মুক্তিপণের টাকা আদায় করে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মকবুল।

  • Save

    ঘটনার এক দিন পর রোববার রাতে মুক্তিপণের টাকাসহ মুকুলকে রাজধানীর শ্যামপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

    সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

    তিনি বলেন, ‘মকবুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ভুক্তভোগীর পরিবার ও মকবুল একই এলাকায় বসবাস করত। কিছুদিন আগে ভুক্তভোগীর বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করার সুবাদে পারিবারিকভাবে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভুক্তভোগী তাওহীদের বাবা একজন সৌদিপ্রবাসী। বাবা প্রবাসী হওয়ায় শুধু মুক্তিপণের আশায় ছয় মাসের চেষ্টায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাওহীদকে অপহরণ ও হত্যা করেন মুকবুল।’

    র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘গত শনিবার রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর এলাকার রসুলপুর জামি’আ ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে ছাত্র তাওহীদ নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই দিন রাতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফোন করে জানান যে, তিনি তাওহীদকে অপহরণ করেছেন এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। তাওহীদের পরিবারের কাছে থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন। এদিকে আগেই শিশু তাওহীদ মুকবুলকে চিনে ফেলায় তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য তাওহীদকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন।’

  • Save

    এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মুকবুলের আগের কোনো অপরাধের তথ্য পায়নি র‍্যাব। তবে এই ধরনের ইউনিক অপরাধের ধরন দেখে আমরা ধারণা করছি, তার আগের অপরাধের ইতিহাস থাকতে পারে। এটা মামলার বিস্তারিত তদন্তে উঠে আসবে বলে আশা করি।’

গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

    তাওহীদ ইসলামের মা তাসলিমা বলেন, “আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই তাহলেই আর কোন মাদ্রাসা পড়ুয়া তাওহীদের মায়ের কোল খালি হবে না”।

    যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে আসামি সম্পর্কে সেখানকার বাসিন্দাদের মতামত জানতে চাইলে, সেখানকার বাসিন্দারা সবাই জানায় যে, “আসামীর মৃত্যুদন্ড চাই। তাহলেই সমাজের এইসব কর্মকাণ্ড কমানো যাবে”।

প্রতিবেদক: মুক্তা আক্তার

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ডে নিউজ বিডি