আড়াই বছর পর রিজার্ভ ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আড়াই বছর পর ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। রবিবার (১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে রিজার্ভের পরিমাণ দেখানো হয় ৩৩ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসী শ্রমিকদের আয় রেমিট্যান্সে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ১০ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

আর গত আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৯ কোটি ৮৪ লাখ (১২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন) ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ৪১ কোটি (১০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে প্রবাসীদের হাত ধরে।

২০১৭ সালের ২২ জুন রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। যা মাস দুয়েকের মধ্যে বেড়ে ৩৩ দশমিক ৬৫ বিলিয়নে এসেছে। তবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এর আড়াই বছর পর রবিবার সেই রিজার্ভ ফের ৩৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব মতে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ। অপরদিকে প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে আমদানি ব্যয় কমেছে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।