আন্তজার্তিক ডেস্কঃ
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে বার্সেলোনা শহরের কদর বিশ্বজুড়ে। শহরটিতে ১৯৮০-র দশকের শুরুতে গুটিকয়েক বাংলাদেশির বসবাস থাকলেও বর্তমানে এর সংখ্যা অনেক। শহরটিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরিতে সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশিরা।
স্পেনের কাতালুনিয়া অঞ্চলের রাজধানী ও ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত দেশটির বৃহত্তম বন্দরনগরী বার্সেলোনা। এটি স্পেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্যের প্রধানতম কেন্দ্র ছাড়াও এটি স্পেনের সংস্কৃতি ও শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
ইউরোপসহ বিশ্বের সব দেশের পর্যটকদের কাছে বার্সেলোনার আকর্ষণ অনেকটাই বেশি। পর্যটকদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ছুটির দিন বা অবসরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ান শহরটির দর্শনীয় স্থানগুলোতে।একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, মহামারি এবং তার পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের যে দামামা চলছে, তারপরও হাজারো পর্যটকের পদচারণায় বার্সেলোনা মুখরিত।আরেক বাংলাদেশি বলেন, ‘সুন্দর একটি শহর এবং প্রতিবছর অনেক পর্যটক এখানে আসেন। দর্শনীয় অনেক জায়গা এখানে আছে। আমরাও ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে পরিবার নিয়ে বেড়াতে চলে যাই বিভিন্ন স্থানে।’
বার্সেলোনায় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সুনাম অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব না থাকায় এ বছর ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক আসায় ব্যবসা-বাণিজ্যে সফলতা পাচ্ছেন তারা।একজন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিগত দিনগুলো থেকে অনেক বেশি পর্যটক এসেছে। এ জন্য বার্সেলোনাবাসী অনেক খুশি। সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য এখন তুঙ্গে। আমরা সবাই খুব খুশি।’
বার্সেলোনা বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই বেশ জনপ্রিয়। আবেদনময়ী এ শহরটিতে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব, এফসি বার্সেলোনা ছাড়াও রয়েছে কাসা মিলি, কাসা বাট্টেলা এবং সাগ্রাডা ফ্যামেলিয়া গির্জার মতো বিশ্ববিখ্যাত নকশা।
আরো পড়ুন>>>দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং