লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
মেদহীন, আকর্ষণীয় কোমর পেতে চাই সবাই। আর এজন্য আমরা অনেকেই পেটের মেদ কমানোর জন্য বেলি স্ট্রোক অর্থাৎ পেটের মাংসপেশির ব্যায়াম করে থাকি।
এর ফলে পেটের মাংসপেশির টোন বা আকৃতি সুন্দর হলেও পেটের মেদ কমাতে তা খুব একটা কাজে দেয় না।
পেটের মেদ কমাতে যা করতে পারেন-
- ভাত খাওয়া বন্ধ করুন-
ভাত খেলে পুরোটাই পেটে মেদ হিসেবে জমা হয়। ভাতের পরিবর্তে লাল আটার রুটি খান। মেদ কমবে। যদি নিতান্তই ভাত খেতে হয় তবে এক কাপের বেশি ভাত খাবেন না। - চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন-
যেসব খাবারে চিনি রয়েছে সেসব খাবার খাওয়া বন্ধ করুণ। চিনি জাতীয় খাবার পেটে মেদ জমায়। চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করুণ। - দৈনিক ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন-
যদি পেটের মেদ দ্রুত কমাতে চান তবে অবশ্যই প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করতে হবে। পানি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং দেহের টক্সিন দূর করে পেটের মেদ কমতে সাহায্য করে। - নিয়মিত কাঁচা রসুন খান-
গন্ধের কারণে অনেকেই কাঁচা রসুন থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু যদি দ্রুত পেটের মেদ কমাতে চান তবে নিয়মিত কাঁচা রসুন খাবেন। কাঁচা রসুন দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও মেদ ক্ষয় হতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২/৩ কোয়া রসুন খাবার অভ্যাস করুণ। - শাকসবজি খাবার অভ্যাস করুন-
অনেকরই মাছ-মাংসের প্রতি আগ্রহ থাকে বেশি। এবং সবজি খাবার কথায় অনীহা প্রকাশ করেন। কিন্তু মাছ মাংসে প্রোটিনের পাশাপাশি ফ্যাট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে যা দেহে মেদ জমায়। শাকসবজিতে আছে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন এবং পরিমিত ফাইবার। তাই পেটে মেদ জমতে দিতে না চাইলে শাকসবজি খান। মাছমাংস খাবার পরিমাণ কমিয়ে দিন। - মৌসুমি ফলমূল খান-
সকালে, দুপুর, বিকাল এবং রাতের খাবারের তালিকায় ১ বাটি ফল রাখুন। এতে আপনার কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট কম খাওয়া হবে। ফলে আপনি দ্রুত মেদ কমাতে সক্ষম হবেন। অনেকে মনে করেন ফলের চাইতে ফলের জুস খাওয়া ভালো। কিন্তু ফলের জুস ফ্যাট বাড়ায়। কারণ জুসে ফলের কোন ফাইবার থাকে না এবং স্বাদের জন্য এতে কিছুটা মিষ্টি যোগ করা হয়। সুতরাং ফলেরজুসের পরিবর্তে ফল খান। - খাবারে যোগ করুন কিছু মসলা-
দারুচিনি, আদা, গোল মরিচ জাতীয় মসলা যুক্ত খাবার খান। এইসব মসলা দেহের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। রান্নায় দারুচিনি, আদা ও গোল মরিচ যোগ করে রান্নার স্বাদের মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি কমিয়ে নিতে পারেন পেটের মেদ।
আরও কিছু পন্থা অবলম্বন করতে পারেনঃ
• ঘুমাতে হবে কিন্তু বাতি নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অন্ধকার ঘর শরীরে মেলাটনিন তৈরিতে সাহায্য করে। যা হজমশক্তি বাড়িয়ে মেদ কমাতে সাহায্য করে
• গভীর ঘুমের সময় ব্রেন সবথেকে বেশি অ্যাকটিভ থাকে। গভীর ঘুম শরীরের ক্যালোরি বেশি পোড়াতে সাহায্য করে। ফলে ঘুম যত বেশি গভীর হবে, তত বেশি কমবে শরীরের মেদ
• শুতে যাওয়ার ঘণ্টা দুই আগে গ্রিন টি পান করতে পারেন। গ্রিন টিতে ক্যাফেইন থাকার কারণে মেটাবলিজম রেট বেড়ে দ্রুত ক্যালোরি পোড়েঘুমের সময় বিছানায় মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব এগুলোকেও সঙ্গে রাখবেন না যেন। এগুলোর কাছে থাকলেই আপডেট দেখতে ইচ্ছা করবে। যা ঘুমে সমস্যা তৈরি করে।
নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও পুষ্টিকর খাবার খেলেই সুস্থ শরীর আর মেদহীন কোমর থাকবে সব সময়।
আরও পড়ুনঃ সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় ঝেড়ে ফেলুন।