লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
ওজন কমিয়ে ঝরঝরে হতে চাইলে প্রথমেই কিন্তু নজর দিতে হবে ডায়েটে। ঠিক সময়ে ঠিক মতো খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে লোভ সংবরণ করতে হবে আর এক্সসারসাইজ চালিয়ে যেতে হবে।
যখন আপনি ডায়েট করার কথা ভাবছেন তখন ব্রেকফাস্টে সবচেয়ে ভালো খাবার হল ওটস। কারণ ওটসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার আর নানা রকমের খনিজ থাকে। যা আমাদের শরীরে পুষ্টি জোগায় সেই সঙ্গে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে।
ওটসের মধ্যে ক্যালোরি একেবারেই থাকে না। মাত্র ১০ মিনিটেই কিন্তু বানিয়ে ফেলা যায় ওটস। আর ওটসের সঙ্গে পছন্দসই ফল আর ড্রাই ফ্রুটস মেশালে তো কথাই নেই। তাহলে এর পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় আরও ওটস দিয়ে এখন অনেক কিছুই বানানো যায়। ওটসের খিচুড়ি, ওটসের উপমা, কুকিজ।
তবে যখন ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তখন ওটস দিয়ে মুখরোচক কিছু না খাওয়াই ভালো। কারণ মুখরোচক খাবার মানেই তাতে তেল,মশলা এসব থাকবেই। তাই টকদই, ফল দিয়ে ওটস খাওয়াই ভালো। এতেই কিন্তু ওজন কমবে তাড়াতাড়ি।
>কোন ওটস খাবেন
ওটস কিন্তু তিন রকমের হয়। স্টিল কাট ওটস, রোলড ওটস আর ইনস্ট্যান্ট ওটস। এই তিন ধরণ কিন্তু নির্ভর করে প্রসেসিং এর উপর। রোলড ওটস আর ইনস্ট্যান্ট ওটসে কিছুটা হলেও কেমিক্যাল মেশানো থাকে। কিন্তু স্টিল ওটসে সে সব কিছুই থাকে না। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ ফাইবারও থাকে।
>কতটা পরিমাণ ওটস খাবেন
খাবার খাওয়ার আগে প্রথমেই ক্যালোরির পরিমাণ মেপে নিন। ব্রেকফাস্ট ছাড়াও ওটস খেতে পারেন স্ন্যাকস টাইমে। তবে একবারে অনেকটা ওটস খেয়ে নেবেন এরকম কিন্তু করবেন না। সারাদিনে ৩টে ভারি মিল আর ২ টো ছোট মিল এই রকম হিসেব রাখুন। সেই অনুযায়ী ক্যালোরি কাউন্ট করুন। সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি থাকবে ব্রেকফাস্টে। এরপর তা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
>ওটসের সঙ্গে চিনি নয়
মিষ্টি বা সুগার ফ্রি ছাড়া ওটস খেতে পারেন না? এটা কিন্তু একদম ঠিক নয়। একেবারেই যদি মিষ্টি ছাড়া না খেতে পারেন তাহলে ওটসের সঙ্গে মধু বা ম্যাপেল সিরাপ যোগ করতে পারেন। তবে ওটসের সঙ্গে ফল, বিভিন্ন বাদাম, পিনাট বাটার , খেজুর এসব দিলে আলাদা করে কোনও রকম মিষ্টির প্রয়োজন পড়ে না। এই ভাবে ওটস খাওয়া অভ্যাস কলে কিন্তু অনেক রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
আরও পড়ুনঃ নববর্ষের মেনুতে রাখুন আম দিয়ে কাতলার রসা।