শিশুকে বই পড়ার অভ্যাস করাবেন যেভাবে

আসুন আপনার শিশুকে স্মার্টফোন, কার্টুন আর মোবাইল গেমে আসক্ত না করে , শিশুকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলুন ।

জীবনের প্রকৃত বন্ধু বই। জ্ঞান অন্বেষণের পাশাপাশি মানুষকে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতেও সাহায্য করে বই। বই এমন এক জিনিস, যা মানুষকে হাসায়, কাঁদায় আবার আনন্দও দেয়। মানসিক অবসাদে ভুগলেও বই হতে পারে আপনার প্রিয় বন্ধু।

ইদানীং প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বই থেকে। সেই তালিকায় আছে শিশুরাও।পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বইগুলো পড়লে শিশুর জ্ঞানের ভাণ্ডার যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনই তার কল্পনাশক্তিও বিকশিত হবে।

স্মার্টফোন, কার্টুন আর মোবাইল গেমের কারণে অনেক শিশুর মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে যেতে বসেছে। আর দেরি না করে ছোট থেকেই আপনার সন্তানকে করে তুলুন বইপ্রেমী।

  • বড়রা যা করে শিশুরা তাই দেখে শেখে। সারাদিনে একটি নির্দিষ্ট সময় বই পড়ার জন্য বরাদ্দ করুন। আপনাকে বই পড়তে দেখে আপনার সন্তানও বই পড়তে উৎসাহিত হবে।
  • শিশু খুব ছোট হলে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে গল্পের বইটি মজার ছলে পড়ে শোনান। ছোট থেকেই সেই অভ্যাস তৈরি হয়ে গেলে বয়স বাড়ার সঙ্গে তার বইয়ের প্রতি আসক্তিও বাড়বে।
  • প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় শিশুকে নিয়ে বই পড়ুন। শিশু যে বইয়ে আগ্রহ পায়, বেছে নিন সে বইটিই।
  • শিশুদের বই পড়ে শোনান। রাতে ঘুমের আগে গল্পের বই পড়ে শোনাতে পারেন।
  • অনেক সময় শিশু একই গল্প বারবার শুনতে চায়। বিরক্ত না হয়ে তাকে বারবার পড়ে শোনান।
  • বড় ও রঙিন ছবি দেওয়া বই তুলে দিতে পারেন শিশুর হাতে। সে আগ্রহী হবে।
  • শিশুর বয়স যদি চার-পাঁচ বছরের নিচে হয় তা হলে এমন বই কিনুন, যেখানে একটি পৃষ্ঠায় তিন-চার লাইন করে থাকে। ছোট শিশুদের জন্য রঙিন বই কিনুন। বইতে অনেক ছবি থাকলে ভাল হয়, তাতে তাদের কল্পনা শক্তি বাড়বে।
  • বন্ধুদের সঙ্গে বই পড়া বিষয়ক গ্রুপ তৈরি করতে বলুন। সবার পড়া বই নিয়ে আলোচনা করতে উৎসাহ দিন।

আসুন আপনার শিশুকে স্মার্টফোন, কার্টুন আর মোবাইল গেমে আসক্ত না করে , শিশুকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলুন ।

আরো পড়ুনঃ গর্ভের শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে মায়ের খাবার