- যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ওরফে ক্যাসিনো সম্রাট
- যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম।
- যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদ
- নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ
উপরের প্রতিটি নামই সম্প্রতি একেকটি উপাখ্যান। যাদের নামের আগে সৎ, ত্যাগী, নির্ভীক, সমাজসেবক, কর্মীবান্ধব আরো কতো কি বিশেষণ ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। কিন্তু যেমনি ধরা, তেমনি সব কেমন যেন গণেশ উল্টানোর মতো পাল্টে গেল মুহূর্তেই। আর বেরিয়ে এলো অকল্পনীয়, লোমহর্ষক, সিনেমা বা কল্প-কাহিনীকে হার মানানো সব উপাখ্যান। যা বিশ্বাস করতেও বিবেক ভাবে। অসংখ্য ভাবনা ও প্রশ্নের জন্ম দেয়া এসব উপাখ্যানের কোন কিনারা কেউ পায়না।
তেমনি পাপিয়াকে নিয়েও সম্প্রতি অনেক কথা হচ্ছে। নিচের প্রশ্নগুলো উঠছে বিভিন্ন মাধ্যমে-
ক.
১. ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষ কি জানতো না পাপিয়া তাদের হোটেল ভাড়া নিয়ে কি কাজ করতো?
২. আড়াই লাখ টাকায় পুরো বার ভাড়া নিতেন পাপিয়া- ভাড়া নেওয়া বারে কারা আসতো?
৩. একটি ফাইভস্টার হোটেল কি গ্রাহকদের সুবিধা রক্ষার পরিবর্তে সম্পূর্ণ বার ভাড়া দিতে পারে?
৪. ওয়েস্টিন হোটেলের বারে প্রতিদিন কত টাকার মদ বিক্রি হয়?খ.
১. মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছাকাছি যাওয়া কতোটা শক্ত তা সাধারণ কর্মী মাত্রই জানেন। বর্তমান সরকারের রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে তার আন্তরঙ্গ ছবি। কিন্তু কিভাবে?
২. ওয়েস্টিনে যারা যান তারা ক্ষমতাহীন নয়। ওয়েস্টিনে যাওয়া এমন কিছু লোককে ব্ল্যাকমেইলও করেছে পাপিয়া। মহিলা লীগের নেত্রী হিসেবে এতো বিশাল ক্ষমতা তার ছিলোনা। পাপিয়ার গডফাদার কে এবং কারা ? কারা তার আয়ের ভাগ পেতেন?
৩. ওয়েস্টিনে সিসি ক্যামেরা আছে, সুতরাং পাপিয়ার খদ্দরদের বের করা খুব কঠিন কাজ নয়। খদ্দরদের তালিকা প্রকাশ করা হবেনা কেনো?গ.
১. অবৈধ হলেও মহাপ্রতাপশালী পাপিয়া তো দিব্যি কায় কারবার চালাচ্ছিলো। কার সাথে স্বার্থের সংঘাতে তাকে গ্রেফতার করা হলো? ওই স্বার্থটা কি?
২. ঢাকাসহ দেশের আর কোন কোন হোটেলে এমন বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে?
৩. পাপিয়ার জায়গা এখন দখল করবে কে?দুর্নীতি দমন কমিশন বা রাজস্ব বিভাগসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা বিশেষ টিম গঠন করে বা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে শত আড়ালে থাকা এই উপাখ্যানগুলো সকলের সামনে নিয়ে আসছেন ? থাকতে পারে তদের বিশেষ পরিচয় তবে জঙ্গিদের যেমন কোন ধর্ম থাকেনা তেমনি ধরা পড়লে অপরাধীরা কোন দলের হয়না। ক্ষমতাসীন দল কোন অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় না- তা এসবের প্রকাশেই প্রতীয়মান হচ্ছে। অপরাধী দমনে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্সে আছে। পার্টি বা পদ ব্যবহার করে ফায়দা নেয়ার সময় শেষ। তবে অপরাধীর অপরাধী হয়ে উঠার পেছনের কথাও অনুসন্ধান করতে হবে বলে মত প্রকাশ করছে সবাই।