৭৭ বছর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিমান উদ্ধার অরুণাচলে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিমান উদ্ধার অরুণাচলে
উদ্ধারকৃত বিমানের ধ্বংসাবশেষ

নিখোঁজের ৭৭ বছর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিমান উদ্ধার করা হয়েছে ভারতের অরুণাচল থেকে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দক্ষিণ চীনের কুনমিং থেকে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে সি-৪৬ পরিবহন বিমানটি। তারপরেই নিখোঁজ হয়।

যুদ্ধকালীন সময়ে ভারত, মিয়ানমার ও চীনে এরকম হারিয়ে গেছে কয়েকশ বিমান। এর কিছু জাপানি সেনারা গুলি করে ধ্বংস করলেও বাকিগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগে হারিয়ে গেছে চিরতরে।  তবে আস্ত বিমানটি উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও সি-৪৬ পরিবহন বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করতে পরেছে উদ্ধারকারীরা। এই বিমানটির হতভাগ্য এক যাত্রীর সন্তান বিল শেরারের অনুরোধের পর বিমানটি উদ্ধারে নামে একটি অনুসন্ধানী দল।

উদ্ধার অভিযানে নামা দলে অংশ নেওয়াদের মধ্য থেকে ৩ গাইডের মৃত্যু হয়েছে। তুষার ঝড়ের সময় প্রাথমিক পর্যায়ে প্রকল্পে ওই তিন গাইড হাইপোথার্মিয়ায় মারা যায়। এই অনুসন্ধান মিশনের প্রধান ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযাত্রী ক্লেটন কুহলেস। তারা বিমানের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তেমন কোনো তথ্যই পাননি শুরুর দিকে। কেবল জানতে পারেন বিমানটি অদৃশ্য হয়ে গেছে। স্থানীয় লিসু নৃগোষ্ঠীর একদল গাইড নিয়ে বরফশীতল নদীর হাঁটু ও গলা সমান পানি পেরিয়ে পর্বতের উচ্চতায় হিমায়িত তাপমাত্রায় তাদের ক্যাম্প করতে হয়েছিল।

অভিযাত্রী দলটি গত মাসে একটি তুষার ঢাকা পর্বতের চূড়ায় পৌঁছায়, যেখানে বিমানটি ধাক্কা খেয়েছিল, সেখানে বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখেই তারা এটিকে হারিয়ে যাওয়া বিমানের অংশবিশেষ বলে শনাক্ত করেন। বিমানটি পাওয়া গেলেও এটি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানকারী দল হিমালয়ের একটি পাহাড়ের চূড়ায় এটির ধ্বংসাবশেষ পায়।

হারিয়ে যাওয়া এই বিমানটির এক যাত্রীর ছেলে শেরার এর অনুরোধেই বিমানটিকে খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় শেরার বলেন, আমি এজন্য আনন্দিত যে, আমার বাবা এখন কোথায় আছেন-আমি তা জানতে পেরেছি।

আরও পড়ুন : পাইলটের ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি