তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) বিদেশবিষয়ক সহসভাপতি জেভদেত ইলমাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী। গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানী আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তাঁরা দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, জেভদেভ ইলমাজ এর আগে দেশটির উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পদাধিকারবলে দলটির সভাপতি।
একে পার্টির সদর দপ্তরে ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক উঠে আসে। জেভদেত ইলমাজ বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন অর্জনসমূহের প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ একটি বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
আলোচনায় উভয় পক্ষ একমত হয়, উল্লেখযোগ্য অর্থনীতি ও জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠতর অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব, যা দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত সিদ্দীকী বাংলাদেশের পরিকল্পিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে একটি তুর্কি-বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন।
আগামী দিনে এ বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ প্রাধান্য পাবে বলে জেভদেত ইলমাজ আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন, তুরস্কে আশ্রিত সিরিয়ার শরণার্থী ও সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিজ্ঞপ্তি