উপজেলা পরিষদের কাজে ইউএনওদের চেয়ারম্যানের অনুমোদন নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

দেশের সকল উপজেলা পরিষদের অধীনস্ত দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদন নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দিয়ে যে সার্কুলার জারি করা হয়েছিল তার অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাগজপত্র ও নথিপত্র উপজেলা চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অনুমোদিত করে নিতে হবে ইউএনওদের। এই নির্দেশনাসহ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ও বিধি বাস্তবায়ন নিশ্চিতের জন্য বলা হয়েছে। আদেশের বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে ইউএনওদের প্রতি সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতের রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম।

এ বিষয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, উপজেলা পরিষদ আইন ও এর অধীনে করা বিধিমালায় বলা আছে- উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব বিভাগের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে ইউএনওরা (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) পরিচালনা করবেন। এ বিষয়ে একাধিক সার্কুলারও জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু ইউএনওরা সেটা না করে নিজেরাই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে উপজেলা পরিষদকে অবহিত করেন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা পরিচালিত হবে। কিন্তু ইউএনওরা সেটা মানেন না, যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। এক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় যাতে না ঘটে, সেজন্য হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।

এর আগে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। তার সাথে ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খানসহ পাঁচজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ইউএনওদের সাচিবিক দায়িত্ব পালনের বিধান সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি।