আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ী থেকে সরকারী ৮০ বস্তা চাউল আটক

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার এক আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ী থেকে সরকারী ৮০ বস্তা চাউল আটক করেছেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এ্যাসিলেন্ড। পরে উপজেলা খাদ্য বিভাগ আংগারিয়া অঞ্চলকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন । আওয়ামীলীগ নেতার দাবী এ চাউল তিনি ব্যবসার জন্য পুলিশ লাইন থেকে কিনেছেন।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভুমি ) অফিস ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আজ সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের বৃত্তিতে শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি চর পাতাং এলাকার আব্দুর রব হাওলাদার ও তার পাশের বাড়ীর প্রবাসী বাবুল সরদারের এর ভবন থেকে সরকারী ৮০ বস্তা চাউল আটক করেছেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এ্যাসিলেন্ড। পরে উপজেলা খাদ্য বিভাগ আংগারিয়া অঞ্চলকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন তিনি ।

শরীয়তপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ নুরুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন । সেখানে তিনি পুলিশ সুপারের নামে ডিও করা ৪ টন চালের অর্ডার কপি পান । তবে আওয়ামীলীগ নেতা কিভাবে চাউল কিনেছেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেন নি। এ চাউল খুলে বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানীর নামে ২৫ কেজি করে প্যাকেট করে সেলাই করা হচ্ছে। যা উচ্চ মুল্যে প্রতারনা করে বাজারে বিক্রি করে থাকেন ।

আওয়মীলীগ নেতা আব্দুর রব হাওলাদারের মেয়ের জামাই আনোয়ার সরদার বলেন , আমরা ব্যবসা করার জন্য পুলিশ লাইন থেকে এ চাউল কিনেছি । সে সকল কাগজ পত্র আমরা দেখিয়েছি।
আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রব হাওলাদার বলেন , এ চাউল আমি ব্যবসার জন্য পুলিশ লাইন থেকে কিনেছি। সামনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন । আমি নির্বাচনে আংগারিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চাই । এ কারনে আমার বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

শরীয়তপুর পুলিশ লাইনের রির্জাভ ইন্সিসপেক্টর ( আর আই) খন্দকার মাহবুবুর রহমান বলেন , এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা ।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভুমি) ফাতেমা খাতুন বলেন, আমরা গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে আংগারিয়া এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ৫০/৬০ বস্তা চাল আটক করেছি। তারা যে সকল কাগজ পত্র দেখিয়েছে তা বিধি সম্মত নয়।

শরীয়তপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ নুরুল হক বলেন, পুলিশের কাছ থেকে ব্যসায়ী আব্দুর রব হাওলাদার চাউল কিনেছেন। এ মর্মে তার কাছে একটি প্রত্যায়ন পত্র আছে । আমরা চাউল গুলো আটক রেখেছি । বিষটি খতিয়ে দেখবো।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান কে বার বার মোবাইল ফোনে ফোন কওে পাওয়া যায়নি।