নানাভাবে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর বিরুদ্ধে

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

আকাশে মেঘ দেখার অযুহাতে বন্ধ কওে দেওয়া হয় শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎতের লাইন। আর ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। মিটার রিডিং না দেখে কাল্পনিক বিল করা, মিটার সরানো ,ট্রান্সমিটার জ¦লে যাওয়া, ফেইস পরে যাওয়া সহ বিভিন্ন কাজে রীতিমত চলছে গ্রাহক হয়রানি।  তবে পল্লী বিদ্যুৎ এর জি এম বলছেন, ঝড়ের কারনে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ থাকে এ ছাড়া  সব কিছু নিয়ম মেনেই চলছে।

বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের সাথে আলাপ করে নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জানান, গত এক মাসে পল্লী বিদ্যুৎ এর লাইন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশর, পাচক, কেদারপুর, মোক্তারের চর, বিঝারীর ইউনিয়নের দিগম্বর পট্রি, চামটা, নশাসন শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া, বিনোদপর, চিতলিয়া, রুদ্রকর সহ বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৫/৬ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ফলে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে আকাশে মেঘ দেখেই বন্ধ করে দেওয়া হয় পল্লী বিদ্যুত এর লাইন। আর মাঝ মধ্যে মেরামতের নাম করে বিদ্যুত থাকে না পুরো দিন। এর জন্য করা হয় না কোন রকম মাইকিংয়ে প্রচার প্রচারনা। নাম মাত্র অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল নাম্বার বিভিন্ন সময় শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যতু এর গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করলেও ঐ সকল মোবাইল নাম্বার প্রায় বন্ধ থাকে। অধিকাংশ সময় পল্লী বিদ্যুৎতর লোক জন মিটারের কাছে না গিয়ে এবং  মিটার রিডিং না দেখে কাল্পনিক বিল করে থাকে, অফিসে অভিযোগ করে ও গ্রাহকরা এর কোন সুরাহা পায়না।  লাইন কেটে দেওয়ার ভয়ে গ্রাহকরা ঐ সকল ভুতড়ে বিলই পরিশোধ করে থাকেন। মিটার সরানো, ট্রান্সমিটার জলে যাওয়া, ফেইস পরে যাওয়া সহ বিভিন্ন কাজে রীতিমত চলছে গ্রাহক হয়রানি।

গত এক মাসে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা এবং পল্লী বিদ্যুতের আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে ২৪ ঘন্টায় ৫/৬ বিদ্যুৎ ছিল না।

নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের দিগম্বর পট্রি গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক নাছির আহাম্মেদ আলী বলেন, নানা সমস্যার কারনে পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দিয়ে পাওয়া যায় না। পেলেও তারা গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরন করে। আর প্রায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।
নড়িয়া উপজেলার ভোজেশর এলাকার আবদুল দেলোয়ার, আনাখন্ড এলাকার আবু বকর মৃধা বলেন, আজ (শনিবার) ভোর থেকেই কোন ঝড় বৃষ্টি ছিল না। অথচ সকাল থেকেই প্রায় ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এরপর একাধিকবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। এ গরমে বাসায় টিকে থাকার উপায় নেই।
ভোজেশর বাজারের দোকানদার আতাউর রহমান বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা ঠিক মত ব্যবসা বানিজ্য করতে পারছিনা।
নড়িয়া উপজেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাষ্টার আব্দুস ছালাম বলেন, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের পাটি অফিসে আজ শনিবার সকালে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তিতি সভা চলছিল। সভাচলাকালিন সময় ৩ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। কারিগড়ি সমস্য কারনে বিদ্যুৎ চলে যায় কি না তা আমি জানি না।

শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জুলফিকার রহমান বলেন, গত দুই মাসে বৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। মাঝে মধ্যে মেরামতের জন্য ও কিছু সময় বিদ্যণু বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। আগামী মাস থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।