চাকরি বনাম বাস্তবতা

বয়স আর মানুষ বড়ই সাংঘর্ষিক। সত্যিই ২৩ থেকে ২৮ বয়সটা অদ্ভুৎ রকমের বেমানান। এই বয়সটায় পড়াশোনা শেষ হয়। চাকরির জন্য প্যারা থাকে। বাবা মা ও অসুস্হ হয়ে যায়।।

এই বয়সটাতে রাজ্যের যত চাপ একসঙ্গে মাথায় এসে ভর করে। প্রিয়জন ভালো লাগে না, বন্ধু ভালো লাগে না। সবকিছুই কেন যেনো পর পর লাগে। হঠাৎ মন খারাপ হয়। কান্না পায়।

মনে হয় পুরো পৃথিবীর বিপরীতে আমি এক ব্যর্থ সৈনিক। নিজের জীবন ছাড়া হারাবার যেনো কিছুই বাকি নেই।

এই বয়সে বড় বড় স্বপ্ন ছোট হতে হতে লুচির মত চুপসে যায়। মায়ের আদর আর গায়ে মাখেনা। প্রিয়জনদের উপদেশ করুণার মত লাগে।

এই বয়সে আবেগ দেখানো যায়না, জোরে হাসা যায়না, লোকসম্মুখে কাঁদা যায়না।

সবকিছু ছাপিয়ে এই বয়স পার করা মানুষটি আর মানুষ থাকেনা। একটা জীবন্ত মেশিন হয়ে যায়।

যার আবেগ-অনুভূতি পিষে ফেলে ভোরের প্রথম ট্রেন।
যে ট্রেনে করেই আমরা ফিরি পরের স্টেশনে।

এই কি জীবন নাকি নয়?