স্থগিত করা হতে পারে বইমেলা

করোনা পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনেই নেওয়া হচ্ছে অমর একুশে বইমেলার প্রস্তুতি। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে যেকোনো সময় স্থগিত করা হতে পারে বইমেলা।

সোমবার (১৫ মার্চ) বাংলা একাডেমিতে মেলা নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে এমনটাই জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, এখন পর্যন্ত যেভাবে আছি, তাতে বইমেলা মাসব্যাপী চলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং আশা রাখছি। তবে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রস্তাব করেছি- পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়, প্রয়োজনে বইমেলা হয়তো বন্ধও করে দেওয়া হতে পারে।

বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, যদি পরিস্থিতি খারাপ হয়, আমরা মেলায় দর্শনার্থী প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করবো, তারপরও যদি পরিস্থিতি খারাপ থাকে, সেক্ষেত্রে হয়তো আমরা মেলা বন্ধ করবো।

এদিকে,  ২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।

পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ গণমাধ্যমে যৌথ বিবৃতি পাঠান।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ একতরফা মিটিংয়ে আসন্ন অমর একুশে বইমেলা ২০২১ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বইমেলার সার্বিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা পর্ষদ’ বিষয়টি ওয়াকিবহাল নয়। এ ছাড়া বইমেলার অংশীজন প্রকাশকদের প্রতিনিধিত্বকারী দুই সংগঠন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি-কারও সঙ্গেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা করা হয়নি।

প্রকাশকরা বলেন, অমর একুশে বইমেলা আমাদের ঐতিহ্যের অহঙ্কার। অথচ এরকম একটি আয়োজন স্থগিতের এক তরফা কর্তৃত্ববাদী সিদ্ধান্ত নিল বাংলা একাডেমি। আমরা বাংলাদেশের প্রকাশক সমাজ বিষয়টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তারা আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি করোনাকাল বিবেচনায় এই বিষয়ে অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা পর্যদে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনে বইমেলা আয়োজনের সময় পুনর্নির্ধারণ করে বিকল্প ব্যবস্থা করা যেত। কী করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা যায়, তাও ভাবার সুযোগ ছিল।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে এবার মেলার পরিসর দ্বিগুণ করা হয়েছে। আছে স্বাস্থ্যবিধি মানার কঠোর নির্দেশনা। ১৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করবেন এবারের বইমেলার।