বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ৮৯৬১: একদিনে ইতালিতে ৪৭৫জন প্রাণহানির রেকর্ড

বিশ্বজুড়ে ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে মারা গেছে ৮ হাজার ৯৬১ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮৫ হাজার ৬৭৩ জন। 

বিশ্বের ১৭৩টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৯২৮ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৪৫ জন। এরপরেই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। সেখানে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৭১৩ জন। 

ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৬১ এবং মারা গেছে ১ হাজার ১৩৫ জন। স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৬৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৩৮ জনের। 

জার্মানিতে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৩২৭ এবং মারা গেছে ২৮ জন। যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৭১ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। 

ফ্রান্সে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ১৩৪ এবং মারা গেছে ২৬৪ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের। 

সুইজারল্যান্ডে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১১৫ এবং মারা গেছে ৩৩ জন। যুক্তরাজ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৬২৬ জন এবং মারা গেছে ১০৪ জন। 

নেদারল্যান্ডে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫১ এবং মৃত্যু ৫৮, অস্ট্রিয়ায় আক্রান্ত ১ হাজার ৬৪৬ এবং মৃত্যু ৪, নরওয়েতে মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৫৯১ এবং মারা গেছে ৬ জন। 

বেলজিয়ামে আক্রান্ত ১ হাজার ৪৮৬ এবং মারা গেছে ১৪ জন। সুইডেনে আক্রান্ত ১ হাজার ৩০১ এবং মারা গেছে ১০ জন। জাপানে আক্রান্ত ৯১৪ এবং মারা গেছে ২৯ জন। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত ৭৯০ এবং মৃত্য ২। 

অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯৬ এবং মারা গেছে ৬ জন। কাতারে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫২ এবং সিঙ্গাপুরে ৩১৩, পাকিস্তানে আক্রান্ত ৩০৭ এবং মারা গেছে ২ জন, সৌদি আরবে আক্রান্ত ২৩৮, ফিলিপাইনে আক্রান্ত ২০২ এবং মারা গেছে ১৭ জন। ভারতে আক্রান্ত ১৬৯ এবং মৃত্যু ৩। 

ইরাকে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৪ এবং মৃত্যু ১২, কুয়েতে আক্রান্ত ১৪২, আরব আমিরাতে ১১৩, ওমানে ৩৯, বাংলাদেশে নতুন করে আক্রান্ত ৪ ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪। এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশটিতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৩ জন। 

 

অপরদিকে, করোনাভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন আরও ৪৭৫ জন। এখন পর্যন্ত যেকোনও দেশে করোনায় একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

করোনাভাইরাসে চীনের পর বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইতালি। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪ হাজার ২০৭ জনের শরীরে এনসিওভি-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৭১৩ জন। এদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৯৭৮ জন।

ইতালিতে করোনায় সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী লোম্বার্ডি অঞ্চল। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু এ এলাকাতেই মারা গেছেন ৩১৯ জন। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই অবরুদ্ধ গোটা ইতালি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে। জনগণকে আপাতত বাড়ির বাইরে বের না হতে অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ইতালিতে করোনায় মৃত্যুহার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

এ পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২ লাখ ১২ হাজার ৮৭০ জন। প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৮৯ জন। এ পর্যন্ত ৮৪ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার মাধ্যম সুস্থ হয়ে উঠেছেন।