গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নামে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা ইটপাটকেল ছোড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। যার নির্দেশদাতা হিসেবে তৎকালীন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নাম এসেছে। ঐ হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ নানা শ্রেণিপেশার অসংখ্য মানুষ রক্তাক্ত আহত হন। ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের ১৭০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উপজেলার চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় ৯৭ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত রাখা হয়েছে আরও ৭০-৮০ জন। তবে এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ব্যারিস্টার সুমনের নির্দেশে মানিক সরকার নামে একজন তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বড়গাঁও এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে অলিউর রহমানকে আঘাত করেন। আরেক আসামি কবির মিয়া খন্দকার তাকে রড দিয়ে মারধর করেন। এতে অলিউর রহমান গুরুতর আহত হন। অন্য আসামিরাও অস্ত্র হাতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে বেধড়ক মারপিট করেন। উক্ত ঘটনায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।