এআই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মত কর্মক্ষম এমনকি তাদের থেকে বেশি স্মার্ট ভাবে কাজ করতে সক্ষম। এআই এর কার্যক্ষমতার জন্য বহু কর্মী চাকরি হারাচ্ছেন বিশ্বজুড়ে।
চিত্রঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আআই)
গোটা বিশ্বজুড়ে একের পর এক কোম্পানির কর্মীদের চাকরি যাচ্ছে। চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে গোটা বিশ্বজুড়ে ৪.২৫ লাখের অধিক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী তাদের চাকরি হারিয়েছেন। সম্প্রতি এমনই একটি রিপোর্ট সামনে আসায়, তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
খবরে বলা হয়, চলতি বছরের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গোটা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলোতে যে ছাঁটাই চলে, তার জেরে ৪.২৫ লক্ষের বেশি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন বলে প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে আসে।
সম্প্রতি যে রিপোর্ট সামনে আসে তা থেকে জানা যায়, ১,১৭৮টি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা থেকে ২,৬০,৭৭১ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। যেখানে ২০২২ সালে ১০৬১ কোম্পানি থেকে ১,৬৪,৭৬৯ জন কর্মী চাকরি হারান। যার হিসাব করলে দেখা যায়, প্রতিদিন গোটা বিশ্বের ৫৮২ জন কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হচ্ছে গড়ে। রিটেল-টেক, কনজিউমার-টেক এবং ফিনটেক থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মীর চাকরি যায় বলে পরিসংখ্যানে উঠে আসে। সম্প্রতি পেটিএম থেকে ১ হাজার কর্মীর চাকরি যায়। রিপোর্টে প্রকাশিত হয় খরচ কমাতেই পেটিএমের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম শেয়ারচ্যাট থেকেও বহু কর্মীর চাকরি যায়। সম্প্রতি ২০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করে শেয়ার চ্যাট। যা এই কোম্পানির কর্মী সংখ্যার ১৫ শতাংশ বলে জানা যায়। গেম স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম লোকো থেকেও সম্প্রতি ছাঁটাই করা হয় বহু মানুষকে। কোম্পানির যে লোকবল রয়েছে, তার ৩৬ শতাংশ কর্মীর চাকরি যায় বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে প্রকাশিত হতে দেখা গেছে যে, বাইজুসের তরফেও সম্প্রতি ছাঁটাই করা হয় বহু কর্মীকে। ৪ থেকে ৫ হাজার কর্মীর চাকরি যায় চিত্রঃ শেয়ার চ্যাট বাইজুস থেকে।
সবকিছু মিলিয়ে ২০২২ সালের শেষ থেকে যে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয় বিশ্বজুড়ে, ২০২৩ সালের শেষেও তা অব্যাহত রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় গোটা বিশ্বজুড়ে যে বহু মানুষের চাকরি যাচ্ছে, অনেকেই সেই পরিসংখ্যান দেখে চমকে উঠতে শুরু করেছেন।