এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ; ডিজিটাল প্রজন্মের ডিজিটাল পদ্ধতি

আজ রোববার (৩১ মে) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করেছি।’

এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা তিন হাজার ২৩টি। অর্থাৎ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ল পরীক্ষার্থীই পাস করেছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফেসবুক লাইভে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরার সময় এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, গতবছর শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৫৮৩টি। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২৩টি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর শূন্য শতাংশ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৪টি। গত বছর যা ছিল ১০৭টি। শূন্য শতাংশ পাস প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওই সব প্রতিষ্ঠান কেন ফল খারাপ করল সেসব খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬ হাজার ৪৭ জন।
  • চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার  ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ০৮ জন।
  • যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন।
  • বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৩ জন। 
  • কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৫৪ জন।
  • সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৯  শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ২৬২ জন।
  • ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৪৩৪ জন।
  • দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন।
  • রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ১৬৭ জন।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে আট লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ ছাত্রী। ছাত্রের তুলনায় ৫১ হাজার ৪০৪ ছাত্রী বেশি।

অপর দিকে মাদরাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় দুই লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন। ছাত্রী অংশ নেয় এক লাখ ৪৭ হাজার ১১৬ জন। ছাত্রের তুলনায় ১২ হাজার ৯৭৮ জন বেশি। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় এক লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।