হোম জেলার খবর সবোর্চ্চ ৪১ ডিগ্রির তীব্র দাবদাহে গলে যাচ্ছে গাজীপুরে রাস্তার পিচ

সবোর্চ্চ ৪১ ডিগ্রির তীব্র দাবদাহে গলে যাচ্ছে গাজীপুরে রাস্তার পিচ

দিন দিন গরম যেন বেড়েই চলছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪১ ডিগ্রিতে। এই অবস্থায় মানুষের সাথে সাথে পরিবেশের অবস্থা হয়ে উঠছে ভয়াবহ। এমনকি তীব্র দাবদাহে গলে যাচ্ছে গাজীপুরে রাস্তার পিচ। 

দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ শীতে অভ্যস্ত হলেও এবার তীব্র গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন।৷তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। একদিকে তাপপ্রবাহ অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চারদিকে নাভিশ্বাস অবস্থা। তীব্র দাবদাহে গলে যেতে শুরু করেছে রাস্তার পিচ।
জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, মোহাম্মদ আলী সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা দিয়ে হেঁটে বা গাড়িতে চলাচল করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূর্যের প্রখর তাপে গলে যাওয়া শুরু করেছে রাস্তার পিচ। গ্রামের মানুষদের খেত-খামারে কাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জেলার সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ঘরে ও অফিসে থাকাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

advertisement for FEBRICS VIEW

জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় মুঠোফোন আর বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের বরাতে জানতে হয় আবহাওয়ার খবর। রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত দুই সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রার প্রকোপ বেড়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছে। যা জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আরো কয়েকদিন তাপপ্রবাহ থাকলে এর মাত্রা আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানায়।
তপ্ত দুপুরে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রিকশাচালক নাসির হোসেন। তিনি বলেন, রাস্তায় রিকশা চালানো যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে রাস্তার পিচের গরমটা শরীর ঝলসে দিচ্ছে। লোকজন বেশি বের হয় না। আগে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা আয় হলেও এখন ৩০০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। রিকশা চালানো কঠিন হয়ে গেছে, সঙ্গে পরিবার চালানোও।
ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, এমন খরতাপ আগে দেখা যেত না। গত দুই সপ্তাহ ধরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে। রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটলে ঝলসে যাওয়ার মতো অবস্থা, যদি রোদ কমে বা বৃষ্টি আসে তবে একটু স্বস্তি পাওয়া যায়।
নিজের কন্যা সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শফিকুল ইসলাম বলেন, তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। মেয়ের ডায়রিয়া জনিত সমস্যা। এখানে এসে গরমে জীবন আরো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আবার ঘন ঘন লোডশেডিং তো আছেই। একেবারে নাজেহাল অবস্থা আমাদের।

 

ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি পেরিয়েছে। এতে করে হিট স্ট্রোকসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি পানীয় খাবার বেশি খাওয়ার তাগিদ প্রদান করছি।৷
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতপ্রবণ জেলা হলেও এবার তাপপ্রবাহ বেশি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে পোস্টারিং, মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সচেতনতা তৈরিতে আলোচনা হচ্ছে।

Advertisement for আস্থা শপ