বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইহুদিবাদী দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না। ফলে এসব দেশে প্রবেশ করতেও পারেন না ইসরায়েলিরা। শুধু তাই নয়, তাদের পাসপোর্টও বৈধ বলে স্বীকৃতি দেয় না এসব মুসলিম দেশ। এছাড়া এর সঙ্গে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশের বিষয়ও রয়েছে। তবে এসবের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। বাংলাদেশ ইসরায়েলকে নৈতিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের ইসরায়েলে ভ্রমণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ইসরায়েল ব্যতীত বিশ্বের সকল দেশ ভ্রমণের জন্য বৈধ। ২০০৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশী সাংবাদিক সালেহ চৌধুরীকে ইসরায়েলে প্রবেশের চেষ্টার দায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সমর্থন করে এবং ইসরায়েলের “অবৈধভাবে প্যালেস্টাইন দখলের” সমাপ্তি দাবি করে।
ওয়াল্ড অব স্ট্যাটিসটিকস নামের এক প্রতিষ্ঠান বেশ কয়েকটি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় থাকা এসব দেশ ইসরায়েলিদের নিজেদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত ১৪ মার্চ প্রকাশ করা ওই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। এছাড়া বাকি দেশগুলো হলো আলজেরিয়া, ব্রুনাই, ইরান, ইরাক,কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিরিয়া এবং ইয়েমেন।
ওয়াল্ড অব স্ট্যাটিসটিকসের পোস্টের জবাব দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির কর্মকর্তারা তাদের একটি অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে এর জবাবে বলেন, ঠিক আছে। এছাড়া অতিরিক্ত কিছু বলেননি দেশটির কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যে কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাতে অন অ্যারাইভাল ভিসা পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ দেশটিতে তারা সরাসরি সাক্ষাতে ভিসা সুবিধা পান।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের এ জবাব ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এ নিয়ে অনেকে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনাও করেছেন। সেই ইসরায়েলি কর্মকর্তা লিখেছেন, আমার ইসরায়েলি পাসপোর্ট নেই। তা সত্বেও আমি এসব দেশে যেতে চাই না। আরেক জন লিখেন, যেভাবে সবকিছু হচ্ছে। আর কয়েকদিন পর শুধুমাত্র আর্জেন্টিনা ইসরায়েলি পাসপোর্ট গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের ১৭১টি অঞ্চলে ইসরায়েলিরা ভিসা ফ্রি সুবিধা পেয়ে থাকেন। এছাড়া বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ২০ তম অবস্থানে রয়েছে ইসরায়েল।