হোম Uncategorized নির্ধারিত দাম থেকে বেশি হলেই করবেন অভিযোগ থানায় গিয়ে যেন শুরু...

নির্ধারিত দাম থেকে বেশি হলেই করবেন অভিযোগ থানায় গিয়ে যেন শুরু হয় তাদের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির দুর্নীতির বিপক্ষে  কার্যক্রম।

রমজানের আগে থেকেই চড়া দাম চিনি,ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সাপ্তাহিক বাজার সামগ্রী। রমজান শুরু দিন আগেই এই উত্তাপ ছড়ায় সবজির বাজারেও। যার তৃতীয় দিন থেকেই ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা হালি। ১০০ টাকা। শসার দামও হাকিয়েছে সেঞ্চুরি, বেগুন হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে।বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থার নিষ্ক্রিয়তায় খুব ধোকোলে তারা।
ক্ষুদ্ধ ভোক্তা অধিদপ্তর ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি এর উদ্বোধনে এসে জানতে পারলো যে ট্রাকে ট্রাকে চাঁদাবাজি ও বাজার সিন্ডিকেটের কারণেই এই দশা। দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে তেল, চিনি, খেজুর সহ আরো কিছু পন্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

তারপর ১৮ টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেসব পন্যগুলোর লিস্ট দেওয়া হল :
১.গরুর মাংস (সর্বোচ্চ ৬৬৪ টাকা কেজি)
২. ব্রয়লার (১৭৫ টাকা কেজি)
৩.আলু (২৮ টাকা কেজি)
৪. দেশি পেঁয়াজ (৬৫ টাকা) ৫.দেশি রসুন (১২০ টাকা প্রতি কেজি)
৫. আদা (১৮০ টাকা প্রতি কেজি)
৬. ডিম ( প্রতিটা ১১ টাকা)

৭.আমদানিকৃত ছোলা (৯৮ টাকা প্রতি কেজি)

৮.মসুর ডাল ( ১৩০ টাকা প্রতি কেজি)
৯.জাহিদী খেজুর (প্রতি কেজি ১৮৬ টাকা)
১০. মরিচ (প্রতি কেজি ৮ টাকা)
১১.বাঁধাকপি (২৮ টাকা) ১২.ফুলকপি (৩০ টাকা) ১৩.বেগুন (৫০ টাকা প্রতি কেজি)
১৪.শিম (৪৮ টাকা প্রতি কেজি)
১৫.টমেটো ( ৪০ টাকা প্রতি কেজি)
১৬. মিষ্টি কুমড়া (২৩ টাকা) ১৭.মোটা চিড়া ( ৬০ টাকা প্রতি কেজি) ১৭.সাগর কলা (২৯ টাকা হালি)
১৮. বেসনের (১২১ টাকা প্রতি কেজি) নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

 

কিন্তু বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না পণ্য বরং ফলের মধ্যে মালটা,তরমুজ, কমলা ও আঙুরসহ ফলগুলোর দাম হয়েছে আকাশ ছোয়া যা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে কিনে রমজান মাসে ইফতার করা সম্ভব নয়।

এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে ন্যায্য মূল্যে দ্রব্য বিক্রির ও পণ্য দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু পোল্ট্রি সংগঠন ও সেবা সংগঠন

খাদ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে এই পণ্যগুলোর দাম নির্ধারিত দামের মধ্যেই হওয়া উচিত তার থেকে কিছু টাকা বেশি কম হলেও যেন সেটা কাছ থেকে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকার উর্ধ্বে না যায় তাহলেই কোর্টে অভিযোগ করলে অভিযোগে কার্যক্রম শুরু করা হবে।

তাই সাধারণ মানুষের একটু সচেতন হওয়া উচিত এবং নির্ধারিত দামের বেশি দিয়ে পণ্য না কিনে থানায় গিয়ে অভিযোগ করাটাই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি থামানোর জন্য শ্রেয়।