হোম Uncategorized মাহে রমজানে চিয়াসিড ও মরিঙ্গা পাউডার সেবনের উপকারিতা জেনে নিন

মাহে রমজানে চিয়াসিড ও মরিঙ্গা পাউডার সেবনের উপকারিতা জেনে নিন

বর্তমান সময়ে মানুষের খাবার নিয়ে সচেতনতা অনেক। প্রতিদিনের খাবারে কি কি পুষ্টিগুণ আছে, আর কি কি খেলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি পাওয়া যাবে তা নিয়ে সচেতন অনেকেই। আর তাই নিত্য নতুন খাবারে মনোযোগ সবার।

চিয়া সিড

স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য এক সুপারফুড চিয়া সিড।

চিয়া সিড কি?
চিয়া সিড মূলত মরুভূমিতে জন্মানো সালভিয়া উদ্ভিদের বীজ। এটি মধ্য আমেরিকার অনেক অংশে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত শস্যের তালিকায় পড়লেও একে এক ধরণের ভেষজও বলা হয়। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির প্রধান খাদ্য তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করে থাকে। চিয়া সিড দেখতে অনেকটা তিলের দানার মতো।

চিয়া সিড এর উপকারিতা:
১. চিয়া সিডস এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।
২. চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে
৩. বিশেষজ্ঞদের মতে মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি উচ্চমাত্রার প্রোটিন আছে চিয়া সিডে, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও উপকারী।
৪. দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় চিয়া সিডে। যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং মজবুত করে তুলতে বিশেষ উপকারী।
৫. গবেষকদের দাবি, চিয়া সিডে এ স্যালমন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে
৬. চিয়া সিড ব্লাড সুগার (রক্তের চিনি) স্বাভাবিক রাখে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়
৭. এ ছাড়া চিয়া সিড শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হতে সাহায্য করে,গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম:
চিয়া সিডের নিজস্ব কোন স্বাদ না থাকায় এটা সাধারণত সালাদ, কাস্টার্ড, স্মুদি যেকোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। তবে খাওয়ার আগে ৩০ মিনিট পানিতে ভিনিয়ে রাখলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড ও ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়

মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়া

সারাদিন রোজা রেখে আমরা খুব বেশি ক্লান্ত অনুভব করি। যার কারনে রাতে ইবাদতে মগ্ন থাকতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু মাস তো ইবাদতের মাস!! ইবাদত না করলে কি চলে? তাই এর জন্য দরকার স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য সেবন। যার জন্য মরিঙ্গা পাউডার অন্যতম।

মরিঙ্গা পাউডার কি?

মরিঙ্গা পাউডার হল একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যতালিকাগত সম্পূরক যা সজনে গাছের পাতা থেকে তৈরি। যা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।এটি আপনাকে প্রাণবন্ত ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করবে।
আবার সারাদিন খালি পেটে থেকে সন্ধ্যায় ইফতারিতে তেলের খাবার বেশি খাওয়ার ফলে অনেক সময় আমাদের গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে যা থেকে বাঁচার জন্য মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়ার এক গ্লাস জুসই যথেষ্ট।

 মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়া কি কি কাজ করে?
প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন, গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। ফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতা সহ বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতি জনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। আবার গ্যাস্ট্রিক দুর করতে সজনে পাতার গুড়া খুবই উপকারী পথ্য।
   মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়া কীভাবে খাবেন?
আমরা মনে করি যে, সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে এটিকে আপনি জুস করে খাবেন। কিছু পানি যোগ করে টেস্টের জন্য কিছু আদা, কিছু জিরা, একটু বিট লবণ দিতে পারেন। ভালো করে ব্লেন্ড করে বা চামচ দিয়ে নেড়ে এরপর ছেঁকে নিন। ছেঁকে নিয়ে খাওয়ার সময় একটু মধু দিয়ে খেয়ে নিন। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জুসটি আপনার খাওয়া হয়ে গেল।এক থেকে দুই চা চামচ সজনে পাতা যথেষ্ট আপনার পুষ্টির জন্য।প্রতিদিন এক চামচ সকালে, এক চামচ রাত্রে। আপনার কর্মক্ষমতা দেখে নিজেই বিস্মিত হবেন।