ঢাকার ২৭টি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার লার্ভার জন্য ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ চিহ্নিত করে এর নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে দুই সিটি কর্পোরেশন।
গত মাস ধরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার ৯৮টি ওয়ার্ডে জরিপ চালিয়ে ১২ শতাংশের বেশি বাড়িতে ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার লার্ভা পায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
দুই সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করা জরিপের ফলাফল সংগ্রহ করে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে এরই মধ্যে জনসচেতনায় মাইকিং, ক্যাম্পেইন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা এবং মশক নিধনে কীটনাশক ছেটানোর কাজ করা হচ্ছে।
ঢাকার মশার ঘনত্ব নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদনে ডিএনসিসির ১৩টি এবং ডিএসসিসির ১৪টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিএনসিসি এলাকার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ১, ১১, ১৪, ১৬, ১৯, ২০, ২১, ২৪, ২৮, ৩৩, ৩৪, ৩৫ ও ৩৯ নম্বর। অন্যদিকে ডিএসসিসি এলাকার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ৩৪, ৩৮, ৩৯, ৪১, ৪২, ৪৮ এবং ৫১।
জরিপে মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে, ৮ নম্বর ওয়ার্ড (কমলাপুর ও মতিঝিল), ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড (নবাবপুর ও বংশাল) এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে (ওয়ারী ও নারিন্দা)।
ডিএসসিসির ডেঙ্গু নিধনে কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- এলাকার বাড়িঘর পরিষ্কার রাখা ও কোথাও যেন পানি না জমে, সেজন্য প্রচারণা চালানো। ওয়ার্ডগুলোর স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা এবং মাইকিং করা। এছাড়া নিয়মিত ফগিং ও লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম বেগবান করা ও মোবাইল কোর্ট জোরদার করা।
অন্যদিকে ডিএনসিসির ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- পাচঁটি অঞ্চলের আওতাধীন ভবনের ছাদে এক মাস ধরে ড্রোন উড়িয়ে ছাদবাগানগুলো চিহ্নিত করা। এ সার্ভের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজনন স্থল চিহ্নিত করে ডাটাবেজ তৈরি করা। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানা সংগ্রহ করে সেসব ঠিকানায় ব্যাপকভাবে লার্ভিসাইডিং ও ফগিং করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন > বাংলাদেশি নারী ফুটবলারদের বিজয়ে উচ্ছ্বসিত তারকারা