ডেস্কঃ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের প্রধান তিনটি সংযোগ সেতু পুরোপুরি ধ্বংসের অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ। একই সঙ্গে অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে রাশিয়া তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানানো হয়। গোটা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ ও কঠিন উল্লেখ করে সেখানে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের জনগণের মুক্তি ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই চলমান অভিযানের মূল লক্ষ্য বলে আবারও জানিয়েছে ক্রেমলিন। খবর রয়টার্সের।
রোববার (১২ জুন) রাতভর গোলাবর্ষণের পর সোমবারও পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের বিভিন্ন প্রান্তে অব্যাহত ছিল রুশ গোলাবর্ষণ। অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গেল কয়েকদিন ধরেই অভিযান জোরালো করে আসছে রুশ বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় এদিন দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে দফায় দফায় রকেট হামলা চালায় পুতিন বাহিনী। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু ভবন ও স্থাপনা। হতাহত হন অনেকে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় একজন বলেন, রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পুরো বাড়ি মনে হচ্ছিল কাঁপছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমাদের ফ্ল্যাটটা কোনভাবে বেঁচে গেছে। হামলায় আমাদের ঠিক ওপরের ফ্ল্যাটটাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, রুশ হামলার জবাব দিতে এদিন রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহী-অধ্যুষিত দোনেৎস্কের একটি বাজারে আর্টিলারি হামলা চালায় ইউক্রেনীয় সেনারা। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এরই মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার দখলকৃত প্রতিটি অঞ্চল মুক্ত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পূর্বাঞ্চল পরিস্থিতিকে অত্যন্ত কঠিন ও ভয়াবহ উল্লেখ করে সেখানে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর চলমান সেনা অভিযানে নিহত প্রায় ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিকের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। নিহতদের বেশির ভাগেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয় দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে সন্ধান মেলা গণকবর থেকে। যদিও এখন পর্যন্ত এদের অধিকাংশেরই পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের জনগণের মুক্তি ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই রাশিয়ার চলমান সেনা অভিযানের মূল লক্ষ্য বলে আবারও জানিয়েছে ক্রেমলিন। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত বিশেষ সেনা অভিযান চলবে বলেও ঘোষণা দেন ক্রেমলিন মুখপাত্র।
আরো পড়ুন>>> রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন