লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
শুধু ত্বকের ময়শ্চার লেভেল বজায় রাখা নয়, প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবেও ঘিয়ের খুবই সুনাম রয়েছে। মুখে সূক্ষ্ম রেখা, স্মাইল লাইন দেখা দিতে শুরু করলে দেরি না করে ঘি খেতে বা মাখতে শুরু করলে ত্বকের পেলবতা ফিরে আসবে দ্রুত।
গরম ভাতে আলুসেদ্ধ আর একটু ঘি, আহ্! বাঙালির পাতে ঘি পড়লে আর কিছু লাগে না। ফলে ঘি চিরকালই বাঙালির হেঁশেলের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে কি জানেন কেবল স্বাদে নয়, রূপচর্চার ক্ষেত্রেও খুব জরুরি উপাদান এই ঘি। আজ বলে নয়, প্রাচীনকাল থেকে ঘিয়ের নানা উপকারিতার কথা বলেছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র। প্রতিদিনের ডায়েটে পরিমিত ঘিয়ের ব্যবহার স্বাস্থ্যকর তো বটেই, বিশেষ করে ত্বক আর চুলের যত্নে তা অপরিহার্য। আপনার ত্বক তেলতেলে, শুষ্ক, স্বাভাবিক যাই হোক না কেন, ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় নিশ্চিন্তে কাজে লাগাতে পারেন ঘি।
কী কী কাজে সাহায্য করে ঘি?
অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
খালি পেটে ঘি খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় উপশমের পাশাপাশি ঘি পরিপাকতন্ত্রকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
ত্বকের পাশাপাশি চুলও সুস্থ রাখে
ঘি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন এটি খেলে ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করে। ঘি খাওয়া করা ছাড়াও চুলে লাগালে শুষ্ক চুল এবং মাথার ত্বকের সংক্রমণ থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।
স্থূলতার পাশাপাশি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
খালি পেটে ঘি খেলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না, যার কারণে অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ঘি শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। এর পাশাপাশি হৃদরোগীদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও এটি উপকারী।
হাড় শক্ত করে
ঘি হাড় মজবুত করার পাশাপাশি পেশির ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া এটি জয়েন্টের ব্যথার সমস্যাও কমায়।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুনঃ গরমে ত্বকের যত্নে রাখুন বরফের টুকরা।