লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
ইউরিক অ্যাসিড একটি জটিল রোগ। এটা মূলত একটি বিপাকীয় সমস্যা। এই রোগে আক্রান্ত হলে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও থাকে খুবই বেশি। তাই প্রতিটি মানুষকে নিজের শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ে সচেতন হতে হবে।
আসলে ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরের ওয়েস্ট প্রোডাক্ট। অর্থাৎ খাবার বিপাকের পর শরীরে থাকা অংশবিশেষ হল ইউরিক অ্যাসিড। এই প্রসঙ্গে কলাকাতার রুবি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: আশিস মিত্র বলে, আসলে আমরা খাবারের মাধ্যমে প্রোটিন গ্রহণ করি। এই প্রোটিন বিপাকের পর শরীরে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। এবার শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দুটি কারণে বাড়তে পারে। প্রথমত, শরীরে বেশি পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হলে। দ্বিতীয়ত, শরীরে যেই পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হচ্ছে তা কিডনির মাধ্যমে বেরতে পারছে না। এই দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষই বেশি।
এক্ষেত্রে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার পর অনেকের তা জয়েন্ট জমে। তখন খুব ব্যথা হয়। এই সমস্যার নাম গাউট অর্থ্রাইটিস । তবে অনেকের আবার কোনও লক্ষণই থাকে না। তবে লক্ষণ না থাকলেও এই রোগ থাকার অর্থ হল, অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এক্ষেত্রে ডায়াবিটিস , প্রেশার ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ে।
কতটা থাকতে পারে?
এক্ষেত্রে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড থাকার নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। এবার মহিলাদের ৬.৫ ও পুরুষের ৭ এর কম থাকা উচিত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। তাই প্রতিটি মানুষকে এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইউরিক অ্যাসিড টেস্ট করেই বিষয়টি সম্পর্কে জানা যায়। বছরে একবার এই টেস্ট হল মাস্ট।
হাঁটা কতটা জরুরি?
এক্ষেত্রে হাঁটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ হাঁটলে শরীর অনেকটাই ভালো থাকে। এমনকী ভালো হয় মেটাবলিজম। তাই প্রতিটি মানুষের হাঁটা উচিত। এবার মেটাবলিজম ভালো থাকার কারণে তো ইউরিক অ্যাসিড থাকা রোগীরও হাঁটা উচিত। এভাবেই অনেকটা শরীরে কমে যেতে পারে সমস্যা, এমনটাই জানালেন ডা:মিত্র।
কতটা সময় হাঁটতে হবে?
ডা: মিত্র বলেন, দিনে অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটতে হবে। আর যেভাবে খুশি হাঁটলে চলবে না, বরং আপনাকে একটু জোরে হাঁটতে হবে। ঘাম ঝরবে, শ্বাস সামান্য ফুলবে। তবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এক্ষেত্রে এখন আর ৫ দিন হাঁটার কনসেপ্ট নেই। বরং রোজকার রোজ হাঁটতে হবে। কোনও দিনই বিশ্রাম নয়। তবেই ভালো থাকবেন। নইলে সমস্যা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুনঃ পুরনো শাড়ি থেকে বানিয়ে নিন পছন্দের আউটফিট।