গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ খেলেছিলেন নাইম। সেই সিরিজের দুই ম্যাচেই আঙুলে চিড় নিয়ে খেলেছিলেন তিনি, যে কারণে বোলিংটাও তেমন ভালো হয়নি। তাই বাদ পড়ে যান পরের সিরিজ থেকেই, ফিরতে পারেননি গত ১৪ মাসেও। অবশেষে নিজের চেনা আঙিনায় ফিরেই প্রথম সেশনটা বাংলাদেশের করে দিয়েছেন নাইম।
দিনের প্রথম সেশন শেষে ২৪ ওভারের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনারের বিনিময়ে ৭৩ রান করতে পেরেছে তারা। নাইম একাই নিয়েছেন উইকেট দুইটি। পাশাপাশি শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলামরাও করেছেন আঁটসাঁট বোলিং।
যে কারণে সাগরিকার ব্যাটিংবান্ধব উইকেটেও প্রথম সেশনে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। প্রায় ১৪ মাস পর ফেরা নাইম জোড়া উইকেট নিলেও, পাঁচ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসান এখন পর্যন্ত বল হাতে নেননি। তবে স্লিপে দাঁড়িয়ে পুরো সেশনেই বেশ চনমনে দেখা গেছে তাকে।
রানপ্রসবা ভেন্যুতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে একদমই ভাবেননি লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারাত্নে। আগে ফিল্ডিং পেয়ে প্রথম ঘণ্টায় উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ তা পারেননি। বরং দিয়েছেন কিছু আলগা ডেলিভারি।
তবে ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই ব্রেকথ্রু এনে দেন নাইম। তার ওভারের পঞ্চম বলে কাট করতে বেশিই পেছনে চলে যান ৯ রান করা করুনারাত্নে। যে কারণে বল তার ব্যাটে লাগার আগে আঘাত হানে প্যাডে, জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি লঙ্কান অধিনায়কের।
দলীয় ২৩ রানেই প্রথম আঘাতের পর দ্বিতীয় উইকেটে দেখেশুনে খেলতে থাকেন আরেক ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ও পরীক্ষিত ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। তবে খালেদ-নাইমদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান বের করতে পারছিলেন না তারা। যে কারণে দিনের প্রথম সেশনে রিভার্স সুইপও খেলতে হয়েছে ওশাদাকে।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্বিঘ্নে সেশনের বাকি সময়টা পার করে দেওয়ার পথে ছিলেন ওশাদা ও কুশল। তাদের সেই মিশনে সফল হতে দেননি নাইম। মধ্যাহ্ন বিরতির তিন ওভার আগে তার বলে কট বিহাইন্ড হন ওশাদা। তিনিও রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি হারানো ছাড়া আর কিছুই পাননি ৭৬ বলে ৩৬ রান করা ওশাদা।
ঠিক পরের ওভারে নতুন ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের বিপক্ষে জোরালো আবেদন করেছিলেন শরিফুল। সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে শরিফুল যেনো পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন সেই আউট নিয়ে, তাই নিয়ে নেন রিভিউ। রিপ্লে’তে দেখা যায়, বলের ইম্প্যাক্ট ছিল অফস্ট্যাম্পের বাইরে। তাই রিভিউ হারায় বাংলাদেশ।
এর আগে পঞ্চম ওভারেও শরিফুলের বলে রিভিউ হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। ওশাদার বিপক্ষে সেই বলের ইম্প্যাক্ট ছিল লেগস্ট্যাম্পের বাইরে শেষ পর্যন্ত প্রথম সেশনে ৪৩ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন কুশল। অন্যদিকে ৯ বল খেলে রানের খাতা খোলা হয়নি ম্যাথিউজের।
আরো পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত