লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
১। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যাক: অনেক সময় পাসওয়ার্ড চুরি করার জন্য হ্যাকাররা প্রচলিত সোশ্যাল মিডিয়ার মতো দেখতে নকল পেজ তৈরি করে। এই ধরনের পেজে লগ ইন করতে গেলেই চুরি হয়ে যেতে পারে পাসওয়ার্ড। প্রত্যেক ওয়েবসাইটের নিজস্ব একটি মৌলিক ঠিকানা থাকে। এই ঠিকানা ইউআরএলে লেখা থাকে। এই ধরনের হ্যাকিং থেকে বাঁচতে লগ ইন করার আগে খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট ইউআরএল। কোনও রকম সন্দেহের অবকাশ থাকলে করা চলবে না লগ ইন।
২। কি লগার: কি লগার এমন এক ধরনের সফটওয়্যার যা ফোন ও ল্যাপটপের মতো যন্ত্রে প্রবেশ করলে সেই যন্ত্রে যা যা বোতাম চাপা হয় তার সমস্ত তথ্য বলে দেয় হ্যাকারকে। তার পর হ্যাকার সেই তথ্য থেকে পাসওয়ার্ড সহ নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য চুরি করে নিতে পারে। এই ধরনের হ্যাকিং এড়ানোর একমাত্র উপায় নির্ভরযোগ্য কোনও সংস্থার অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করা।
৩। ফিসিং: এটিও এক ধরনের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যাক। এই পদ্ধতিতে হ্যাকাররা বিভিন্ন মেসেজ বা ইমেল মারফত বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক পাঠায়, এই লিঙ্কে গিয়ে লগ ইন করলেই চুরি হয়ে যায় পাসওয়ার্ড। এই ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচার এক মাত্র উপায় অযাচিত লিঙ্ক কিংবা অসুরক্ষিত ওয়েবসাইট থেকে নেটমাধ্যমে লগ ইন না করা।
৪। প্রতারণা মূলক ফোন: অনেক সময় প্রতারকরা ব্যাঙ্ক কিংবা অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার নাম করে ফোন করে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্যা হয়েছে, নেট মাধ্যমে গিফ্ট কার্ড পেয়েছেন, আপনার নামে ঋণ নেওয়া হয়েছে বা আপনি লটারি পেয়েছেন, এমন হাজারো ছলের মাধ্যমের প্রতারকরা জানতে চায় পাসওয়ার্ড। মনে রাখবেন, টাকা পয়সা সংক্রান্ত কোনও স্বতঃপ্রণোদিত লেনদেনের জন্য কোনও ব্যাঙ্কের ফোন মারফত পাসওয়ার্ড জানতে চায় না। তাই এই ধরনের ফোন এলে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন।
৫। সরাসরি: যে কোনও পাসওয়ার্ড গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়, কাজেই জনসমক্ষে সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত নয়। জনসমক্ষে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করলে তা যদি কোনও প্রতারকের নজরে পড়ে, তবে চুরি হয়ে যেতে পারে পাসওয়ার্ড। এই ধরনের প্রতারণা এড়াতে মুখাবয়ব বা আঙুলের ছাপ নির্ভর পাসওয়ার্ড অত্যন্ত উপযোগী।
আরও পড়ুনঃ যেসব খাবার খেলে মস্তিষ্ক ভালো থাকবে।