বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন বিশ্ব নেতারা

ঢাকা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ গিয়ে শেষ হবে। টানা এক বছর এ উপলক্ষে চলবে নানা অনুষ্ঠানমালা। এই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ সময়কালকে ‘মুজিবর্ষ’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইতোমধ্যেই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মুজিবর্ষ উদযাপনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিশ্ব নেতাদের। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানাতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ দু’দিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেছে। ওই অধিবেশনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিশ্ব বরেণ্য নেতৃবৃন্দকে। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, বঙ্গবন্ধুর নাতনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিকী, ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ সদস্য রুশনারা আলী, ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য লে থু হা, নেপালি কংগ্রেসের অর্জুন নরসিংহ কে সি, ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বোকোভা। এছাড়াও আমন্ত্রণ পেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তালিকা থেকে ওই সকল নাম নিশ্চিত হওয়া যায়।

মুজিবর্ষ উপলক্ষে সংসদ বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারমধ্যে বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন ২২ মার্চ সকল সংসদ সদস্যদের নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে সংসদের দিকে যাত্রা শুরু হবে। এরপর সংসদে বঙ্গবন্ধুর উপর আলোচনা হবে।

এরইমধ্যে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ অধিবেশনের পর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন যারা বঙ্গবন্ধুর উপর আলোচনা করবেন এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে স্পিকারের নিকট নাম লিপিবদ্ধ করবেন। এজন্য ভালো করে পড়াশোনা করারও নির্দেশনা দেন এ সংসদ নেতা। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথিরাও বঙ্গবন্ধুর উপর আলোচনা করবেন। বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে যারা ভালো জানেন তাদেরকেই মূলত আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

এদিকে, বিশেষ অধিবেশনের আগে ১৯ মার্চ সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শিশু মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে সকল সংসদ সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওই দিন দক্ষিণ প্লাজায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হবে।

বিশেষ অধিবেশন ছাড়াও মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন: আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য দলিল প্রদর্শনী, জুন মাসে সংসদ এলাকায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস উদযাপন করা হবে। বছর শেষান্তে ১-৫ ডিসেম্বর সংসদ এলাকায় মুজিবমঞ্চ স্থাপন ও বিজয় মেলা করা হবে। এছাড়া থাকবে সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে সাইকেল র‌্যালি, দেশব্যাপী স্বাস্থ্যক্যাম্প, বঙ্গবন্ধুর সংসদে দেওয়া ভাষণ সংবলিত বিশেষ প্রকাশনা, স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ, জাতীয় সংসদের শুভেচ্ছা স্মারক, বিশ্বের বিভিন্ন সংসদের স্পিকারদের বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের শুভেচ্ছা স্মারক পাঠানো হবে, জাতীয় বিশেষ দিবসে সংসদ ভবন আলোকসজ্জা ও সংসদ এলাকার সাজসজ্জা করা হবে।