হোম অর্থনীতি ঘর অথবা অফিসের নান্দনিকতায় বাহারি কুশনের ব্যবহার ও টিপস

ঘর অথবা অফিসের নান্দনিকতায় বাহারি কুশনের ব্যবহার ও টিপস

কুশনে দিন দিন রং আকার এবং ফেব্রিকসে পরিবর্তন আসছে। আর সাজিয়ে রাখার পরিবেশনাতেও আছে বৈচিত্র্য। সব বাড়িতেই বড় সোফা হোক বা নিচু, ঘরে ডিভান-শতরঞ্জি, যা-ই রাখা হোক, কুশন থাকেই। একই জায়গার জন্য ভিন্ন নকশায় তৈরি একই রঙের কুশন বেছে নেওয়া যায়। ভিন্ন রঙের কাপড়ে একই নকশা থাকলে সুন্দর দেখাবে। এমনকি রং বা নকশায় মিল না থাকলেও অন্তত একই কাপড়ে তৈরি কুশন ব্যবহার করা উচিত।

কুশন কেনার টিপস

  • কুশনের রঙ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দেয়ালের রঙ, পর্দা এবং বিছানার চাদরকে প্রধান্য দিন।
  • তিন-চার সাইজের কুশন একসাথে না দেওয়াই ভালো।
  • একটু ভালো কাপড়ের কুশন কিনুন। যাতে বারবার বদলাতে না হয়।
  • ব্লক বা স্ক্রিন প্রিন্টের কুশনগুলো বারবার না ধোয়াই ভালো।
  • চেইন স্টাইলের কুশনের থেকে বোতাম স্টাইলের কুশন ব্যবহারের জন্য ভালো।
  • মেঝের কুশনগুলো একটু ভারী এবং গাঢ় রঙের হলে ভালো হয়।
  • ভারী তুলা ব্যবহার করুন মেঝের কুশনের জন্য।
  • সিনথেটিক বা নরম তুলা সোফা এবং বিছানার জন্য ভালো।

কুশন দিয়ে ঘর এবং অফিস সাজানো যায়। উপায় জানালেন , বাংলাদেশের সব থেকে বড় পর্দার শোরুম – ফেব্রিক্স ভিউ এবং খেয়ামার্ট কোম্পানি লিমিটেড 

বসার ঘর : বসার ঘরের সোফাতে কুশন রাখতে পারবেন। সোফার আকার-নকশা অনুযায়ী কুশন বেছে নিন। বেত, কাঠ বা বাঁশের তৈরি সোফা থাকলে দেশজ নকশার কুশন দিন। গ্রামীণ চেক, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, কাঁথা স্টিচ বা অ্যাপ্লিক বেছে নিতে পারেন। কুরুশ কাঁটার কাজ করা থাকলেও ভালো দেখাবে। পর্দা ও অন্যান্য আসবাবের দিকেও খেয়াল রাখুন কুশন বেছে নেওয়ার সময়। ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের সোফা (গদিওয়ালা, বড় সোফা) থাকলে কৃত্রিম তন্তুর তৈরি কাপড়ের কুশন কভার মানানসই। এ ছাড়া কাতান, শার্টিন, লেস, নেটের কুশন কভার বেছে নিতে পারেন। সোফার জন্য সাধারণত ১৪ বাই ১৪ থেকে ১৮ বাই ১৮ আকারের কুশন ব্যবহার করা হয়। বসার ঘরটা বড় হলে সোফা ছাড়াও থাকতে পারে ডিভান বা শতরঞ্জি। ডিভান থাকলে নকশিকাঁথা বা নকশিকাঁথার চাদর বিছিয়ে কাঁথা স্টিচ বা নকশিকাঁথার কুশন দিয়ে সাজানো যায়। রঙিন শতরঞ্জিতে বড় কুশন মানায়। ২০ বাই ২০ থেকে শুরু করে ২৮ বাই ২৮ আকারের কুশন ব্যবহার করতে পারেন। তিনকোণা, চারকোণা, গোল অথবা কোল বালিশ শেপের কুশন মানিয়ে যাবে।

 

শোবার ঘর : শোবার ঘরে বালিশের সামনে কুশন রাখতে পারেন কিংবা বালিশ ছাড়াই শুধু কুশন ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভালো মানের দেশীয় সুতি কাপড় কিংবা চাইনিজ বা জাপানিজ কাপড়ের কুশন কিনতে পারেন। বালিশ থাকলে এর কভারের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কুশনের কভার বেছে নিন।

 

শিশুর ঘর : শিশুর ঘরে প্রজাপতি, টেডি বিয়ার, সিনড্রেলা বা ফুটবলের নকশায় তৈরি কুশন রাখতে পারেন। বিছানায় তো রাখতেই পারেন, শিশুর ঘরে ডিভান থাকলে সেখানেও এমন কুশন রাখা যায়। একটু গাঢ় রঙের কাপড় বেছে নেওয়া ভালো, নইলে সহজেই নোংরা হয়ে যেতে পারে।

 

লিভিংরুম : লিভিংরুম থাকলে সেখানে নানান আকৃতির কুশন রাখতে পারেন। চারকোনা বা কোলবালিশের আকৃতির কুশন থাকলে বসতে আরাম বোধ করবেন। বড় বড় কুশন হলে আড্ডা চলতে পারে তার ওপর বসেও।

 

খোঁজখবর : ফেব্রিক্স ভিউ , খেয়ামার্ট ,ফ্যাশন হাউস আড়ং, মায়াসির, নিপুণ, বিবিয়ানা, যাত্রায় পাবেন নানান নকশার কুশন ও কভার। পাট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি কুশন-আবরণ পাবেন ফ্যাশন হাউস যাত্রায়। প্রিন্টের, এমব্রয়ডারি, অ্যাপ্লিক করা কুশন কভার রয়েছে আড়ংয়ে, মিলবে সুতি বা সিল্ক যেকোনো কাপড়ই। এর বাইরে অন্য ধাঁচের কুশন কভার পাবেন ক্লাসিক্যাল হোম টেক্সে। মখমলের নকশা করা বা চুমকি বসানো কুশন কভার পাবেন এখানে। এ ছাড়া নিউমার্কেট, চাঁদনি চক, মিরপুর এক ও দশ নম্বর, গাউছিয়া মার্কেটের বেডিং স্টোরে পাবেন বিভিন্ন ধরনের কুশন কভার। আকার, কাপড়ের ধরন ও নকশাভেদে দাম পড়বে ৩৫০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে।