গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

নির্দেশনা থাকলেও রাজধানীতে গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা থাকলেও গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলোয় আসন সংখ্যা অনুযায়ী যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও আসনের বাইরেও দাঁড় করিয়ে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। প্রয়োজনের তাগিদে যে যার মতো ছুটে চলছে। যাত্রী কিংবা চালক ও তার সহযোগীদের এই নিয়ে কোন সচেতনতা নেই।

বাসের পাশাপাশি ট্রেন এবং লঞ্চের চিত্রও প্রায় একই। যাত্রীদের হাতে জীবাণুনাশক দেওয়ার কথা থাকলেও কোথাও তার ব্যবস্থা দেখা যায়নি।

রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা  গেছে।

বিভিন্ন স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি যেন কারও মাথাতেই নেই। লঞ্চ, স্টিমার, বাস, ট্রেন যাই পাচ্ছে তাতেই মানুষ হুড়মুড় করে উঠছে। এ সময় মাসেআকর খবর  নেয়া দূরে থাক, যাত্রীদের যে জীবাণুনাশক দেয়ার  কথা সেটা কেউ জানেই না বলে মনে হচ্ছে।

বাসের স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনায় বিআরটিএ তাদের নির্দেশনায় যা জানিয়েছে :

১। গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, হেল্পার-কাম-ক্লিনার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান/ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

২। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহনে যাত্রী ওঠানামা করার ব্যবস্থা করতে হবে।

৩। যাত্রার শুরু ও শেষে মোটরযান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া মোটরযানের মালিকদের যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।

অপরদিকে বাসে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিঅোরটিএ) পরিচালনাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অনিয়ম পাওয়ায় ৪০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে।

আরও পড়ুন : গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত