চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ
চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির আন্দোলন

রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নীলক্ষেত মোড়ে সকল চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। দুপুরে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে চলে যেতে বলেন। আন্দোলনকারীরা না সরলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে তারা আবার জড়ো হলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে।

ঘটনা নিয়ে নিউমার্কেট থানার ওসি(ভারপ্রাপ্ত) স ম কাইয়ুম বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি বিধিনিষেধ রয়েছে। সেটি জানিয়ে তাদেরকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে চলে যাওয়ার জন্য আমরা ৪৫ মিনিট সময় দিই। পরে আরও বাড়িয়ে সময় দেয়া হয়। তারপরও তারা না যাওয়ায় জনদুভোর্গ কমাতে আমরা তাদের উপর অ্যাকশন নিতে বাধ্য হই।

এর আগে অবরোধ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, গত বছরের ১৯শে আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘ব্যাকডেট’র মাধ্যমে বয়স ছাড়ের প্রজ্ঞাপন প্রহসনমূলক। এটি সকল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক। এ পদ্ধতিতে বয়স সমন্বয় করায় শুধুমাত্র ত্রিশ উর্ধ্ব বয়সীরাই উপকৃত হচ্ছেন। এবং ২১ মাসের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ৪ মাসের বেশি না। কারণ ব্যাকডেট এর বয়স ২৫ মার্চ ২০২০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত মোট ২১ মাস সময় ধরা হলেও প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় অক্টোবর ২০২১ এ। এবং কার্যকর হয় সেপ্টেম্বর ২০২১ এ। এই ব্যাকডেট দিয়ে সব বয়সের চাকরি প্রত্যাশিদের ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।

আন্দোলনে চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ওমর ফারুক, ইমতিয়াজ হোসেন, ইবনে তানজির, এম এ আলী, মার্জিয়া মুন, সায়রা হক, অক্ষয় রায়, ফকির আল মামুন, মানিক হোসেন রিপন, সাদেকুল মিলন, নিতাই সরকার, তাসলিমা লিমা তানভির হোসেন, আনোয়ার সার্কিন, শারমিন সুলতানা, সুমনা রহমান, মইনুল হোসেন প্রমুখ।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলে পুলিশ সেখানে তাদের বাঁধা দেয়। এছাড়াও তাদের এক অংশ মিরপুর ১০ চত্ত্বরে অবস্থান নিলে সেখান থেকেও পুলিশ তাদের হটতে বাধ্য করে।