রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রা শুরু হয়েছে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে এর উদ্বোধন শেষে ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রা শুরু হয়।
এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং যাত্রী ভোগান্তি কমাতে বেশ কয়েক বছর ধরেই এই পদ্ধতিটি নিয়ে পর্যালোচনা শেষে ২০২১ সালের শেষ সময়ে এসে যা আলোর মুখ দেখলো।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমি এর সাফল্য কামনা করি।
তিনি আরও বলেন, আমি গত ১২ দিন হাসপাতালে ছিলাম। সেখানে থেকে রিলিজ হয়ে বাসায় না গিয়ে সরাসরি মন্ত্রণালয়ে এসেছি। আমি এই উদ্যোগটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। আমার উপস্থিতিতে সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি এই সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করলাম।
প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকার এবং ট্রান্স সিলভা পরিবহনের ২০টি বাসসহ মোট ৫০টি বাস নিয়ে যাত্রা শুরু হচ্ছে নগর পরিবহনের। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে এই উদ্যোগে মোট ১০০টি বাস যুক্ত হবে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে পুরো ঢাকা শহরেই এই সেবা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটারের এই রুটে রুট পারমিট ছাড়া কোনো বাস চলতে দেয়া হবে না।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২১ কিলোমিটারের এই রুটে প্রাথমিকভাবে শুরু হওয়া ৫০টি বাসের রঙ হবে সবুজ। এই রুটের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা, সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৯ টাকা এবং প্রতি কিলোমিটার দুই টাকা ১৫ পয়সা। কেউ এক স্টেশন থেকে উঠে পরের স্টেশনে নামলে তাকে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। আবার এই সর্বনিম্ন ভাড়াতেই তিনি প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারের বেশি পথ যেতে পারবেন। যেকোনো যাত্রী ১০ টাকার সমান দূরত্ব অতিক্রম করলে তাকে পরবর্তী দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটার ২.১৫ টাকা হিসেবে ভাড়া দিতে হবে।
আরও পড়ুন : সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হাসপাতালে ভর্তি