১০৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে পাকিস্তান

আফিফ ফিরলে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন শান্ত। সেই জুটি বেশি লম্বা হয়নি। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ২৮ রানে ভাঙে ওই জুটি। ১৫ বলে ১২ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহ ফেরার পরপরই উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন শান্ত।

প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ইনিংস শুরু করেছেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও নাঈম শেখ। আগের ম্যাচের মতোই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। শুক্রবারের অভিষেক ম্যাচের ব্যর্থতা আরও বেশি করে জেঁকে বসেছিল তার ঘাড়ে।

মাত্র ২ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের শিকার নাঈম। বের হয়ে যাওয়া বল তার ব্যাটে লেগে গেলে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ফখর জামান নেন দারুণ এক ক্যাচ। তাতে ৮ বলে মাত্র ২ রান করে ফিরে যান বাঁহাতি ওপেনার।

দ্রুত ওপেনারদের হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু আফিফ উইকেটে আসলেই ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পাকিস্তানি পেসার আফ্রিদির বল ডিফেন্স করেন আফিফ। কিন্তু বোলার আফ্রিদি নিজের বলটি হাতে নিয়েই আফিফ দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিজের স্টাম্পে খুব জোরে থ্রো করে বসেন। অথচ তখন ক্রিজ থেকেই বের হননি আফিফ। আফ্রিদির থ্রো করা বল তাঁর পায়ে লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ক্রিজেই পড়ে যান আফিফ। পরে বাংলাদেশের ফিজিও মাঠে ঢুকে শুশ্রূষা করে আফিফকে সুস্থ করে তোলেন।

উঠে দাঁড়িয়ে ২১ বলে ২০ রানের ইনিংস উপহার দেন আফিফ। নবম ওভারে শাদাব খানের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশি এই ব্যাটসম্যান। ৪৬ রানে ভাঙে বাংলাদেশের তৃতীয় জুটি।

শাদাব খানের বলে ক্যাচ তুলে দেওয়া শান্ত করেন ৪০ রান। ৩৪ বলে তাঁর ইনিংসে আছে পাঁচটি বাউন্ডারি।

আফিফ-শান্ত ফেরার পর রানের গতি কমে যায় বাংলাদেশের। শেষ দিকে নুরুল-আমিনুলদের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ওভারে ১০৮ রান করে বাংলাদেশ।