৫৮০ বছরের মধ্যে শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘতম আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হলো ১৯ নভেম্বর (শুক্রবার)। এই সময়ের মধ্যে এত দীর্ঘ সময়ের জন্য চন্দ্রগ্রহণ আর হয়নি। আজকের চন্দ্রগ্রহণের মেয়াদ ছিল ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২ মিনিটে শুরু হয় পিনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ। পিনামব্রাল পর্যায়ে পৃথিবীর প্রচ্ছায়ায় না থেকে উপচ্ছায়ায় থাকে চাঁদ। মূল ছায়ার বাইরের অংশটুকুতে যখন চাঁদ থাকে, তখন বলা হয় পিনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ। আর ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট, ২৩ সেকেন্ডের মূল গ্রহণ বেলা ১টা ১৯ মিনিটে শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে। এরপর পিনামব্রালের পরবর্তী ধাপ শুরু হয়। বাংলাদেশ থেকে দেখা গ্রহণটি এ পর্যায়ের।
রাজধানী ঢাকা থেকে বিকেল ৫টা ১৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ড থেকে ৬টা ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত পিনামব্রালের পরবর্তী ধাপ দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, আকাশ পরিষ্কার থাকলে বিকেল সোয়া ৫টার আশপাশে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
এবারের গ্রহণের পুরোটা সবচেয়ে ভালো দেখা যায় উত্তর আমেরিকার দেশগুলো থেকে। চাঁদ ওঠার সময় বুঝে অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব এশিয়া, উত্তর ইউরোপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও তা দৃশ্যমান হয়।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, আজ চাঁদের ৯৭ শতাংশ সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হয়। সে কারণেই একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলা হচ্ছে। শুরুতে ক্রমে আঁধারে ঢেকে গেলেও গ্রহণের একপর্যায়ে লালচে রং ধারণ করে চাঁদ। শেষদিকে আবার ক্রমে আঁধারে ঢেকে যেতে থাকে।
চাঁদ এবং সূর্যের মাঝামাঝি পৃথিবী এলে পৃথিবীর ছায়া পড়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে। সে ছায়ায় চাঁদের পুরোটা ঢাকা পড়লে বলা হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, আর অংশবিশেষের ক্ষেত্রে সেটিকে বলা হয় আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।