সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলীর স্মরণসভা

সাবেক ডেপুটি স্পিকার, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ (মুসপ) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, আগরতলা মামলার আসামি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শওকত আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ১৬ নভেম্বর। দিনটি উপলক্ষে প্রাথমিক স্মরণ সভার আয়োজন করেছে ৭১ ফাউন্ডেশন, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, কর্নেল শওকত আলী ফাউন্ডেশন ও জাতীয় বীর কর্নেল শওকত আলী স্মৃতি পরিষদ। স্মরণ সভার মূলপর্ব আগামী ১৬ নভেম্বর তার দেশের বাড়ি শরীয়তপুরে অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (১৪ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কর্নেল অব. শওকত আলী স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলী ও মুক্তির মহানায়ক কিংবদন্তী শীর্ষক দুটি স্মারক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসহায়, অস্বচ্ছল সন্তানদের মাঝে জাতীয় বীর কর্নেল শওকত আলী বৃত্তি নামে একটি শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়। এছাড়া নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ জন নারীকে সেলাই মেশিন প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

  • Save

 

স্মরণ সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কর্নেল শওকত আলীর সঙ্গে আমার খুব বেশি পরিচয় ছিল না। ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য হয়ে তার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি আমাকে ছোট ভাই হিসেবে সংসদের অনেক আচার-আচরণ শিখিয়েছিলেন।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘শওকত ভাইয়ের নির্বাচিত এলাকায় আমি বর্তমান সংসদ সদস্য। শওকত ভাই জীবিত থাকাকালীন আমি তার সঙ্গে সবসময় থেকেছি। তাকে অনুসরণ করেছি। আমি এখন চেষ্টা করি শওকত ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে এবং তার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে।’

স্মরণ সভার শুরুতে শওকত আলীর জীবনী পাঠ করেন ৭১ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুশফিকা লাইজু। স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের মহাসচিব হাসান উজ-জ্জামান।

তিনি বলেন, শওকত আলী বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ২৬ নম্বর আসামি হিসেবে করাচি ক্যান্টনমেন্টে ক্যাপ্টেন থাকা গ্রেফতার হয়েছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে অবদান রেখেছেন। মুক্তি সংগ্রাম চলছে, চলবে স্লোগানটির উদ্ভাবক ছিলেন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ (মুসপ) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও শওকত আলীর স্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, নাট্যকার বাসিরউদ্দীন চৌধুরী বাচ্চু, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ভাইয়ের মেয়ে নাজনীন হক মিমি, উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হাসান খান, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক, ডেনিউজ বিডি সম্পাদক আলতাফ হোসাইনসহ আরও অনেকে।