টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবি শেষে দেশে পৌঁছেছে ক্রিকেট দল। এর মধ্যেই ভিতরে-বাইরে ঝড় বইছে জয়ের ছন্দে থাকা দলটির সবগুলো ম্যাচে পরাজয়ের কারন নিয়ে। এই বিষয়ে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে দলনেতা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার নেতৃত্বে ঘাটতির কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘হয়তো আমার নেতৃত্বে কিছু ঘাটতি ছিল।’
আগামী এক বছরের মধ্যে খেলতে হবে আরেকটি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দেশব্যাপী প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন। এমতাবস্থায় দলের ভবিষ্যত নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের পাশাপাশি আসছে অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গও। আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো কিছু করতে হলে খোলস পাল্টে দলকে নতুন করে গড়ে তোলা উচিত কি না—এমন প্রশ্নও ছুটে গেছে মাহমুদউল্লাহর দিকে।
নানান কারনে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দলে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাকে নতুন করে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি থেকে তামিমের কাছে প্রস্তাব গেছে। বোর্ডের একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বোর্ডের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের পর তামিম নিজের সিদ্ধান্ত জানাননি। তবে সীমিত পরিসরে একটি ফরম্যাটে যেহেতু অধিনায়কত্ব করছেন আরেকটি দায়িত্ব পালনে সমস্যা থাকার কথা নয়।
বাংলাদেশের হয়ে তামিম সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের মার্চে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর বাংলাদেশ ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেললেও নানা কারণে তামিম ছিলেন না। অনুশীলনের ঘাটতি এবং অনান্য পারিপার্শ্বিকতা মিলিয়ে এবার বিশ্বকাপ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে ভেতরের খবর ভিন্ন। বিশ্বকাপে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তামিমকে চাননি। মাহমুদউল্লাহও ছিলেন নীরব। লিটন ও নাঈমের ওপর আস্থা রেখেছিলেন তারা। কোচ ও অধিনায়কের নেতিবাচক মনোভাব জানার পর তামিম নিজেকে গুটিয়ে নেন।
তামিম ইকবাল এর আগেও অধিনায়কত্ব করেছেন। মাশরাফি বিন মুর্তজা দায়িত্ব ছাড়ার পর তামিমের কাঁধে আসে নেতৃত্বের ভার। মাশরাফি দায়িত্ব ছাড়ার পর ১২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ৮টি জয় এনে দিয়েছেন তামিম। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তার নেতৃত্বে ২০২৩ বিশ্বকাপও খেলতে পারে বাংলাদেশ। দীর্ঘ মেয়াদে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পাশাপাশি তাকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
